।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কানট্রিজ (ওপেক) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। খবর আল-জাজিরার।
কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী সাদ শেরিদা আল-কাবি সোমবার (৩ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কাতার তার প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিবছর ৭৭ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ১১০ মিলিয়ন টন করতে চায়। এছাড়া ভবিষ্যতের আরও কিছু উচ্চাবিলাসী পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাকৃতিক তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডার কাতার অন্যতম প্রধান তরল গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ। পৃথিবীর শতকরা ৩০ ভাগ তরল গ্যাস রপ্তানি করে থাকে দেশটি।
আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ওপেক সম্মেলনকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নিল দেশটি। সংগঠন থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের সাথে কাতারের ওপর সৌদি জোটের অবরোধ আরোপের বিষয়টি জড়িত নয় বলে জানানো হয়েছে।
কিছুদিন আগেই ওপেক সদস্যভুক্ত দেশগুলো ও রাশিয়া তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে তেলের দরপতন না হয়। চলতি বছরের অক্টোবরে তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি ছিলো ৮৬ ডলার যা পরবর্তীতে ৬০ ডলারে নেমে আসে।
বিশ্বের তেলের বাজার ওপেকের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তেল রপ্তানিকারক শীর্ষ ১৫টি দেশ নিয়ে ওপেক গঠিত। এর আগে, ২০০৮ সালে ইন্দোনেশিয়া ওপেক থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে।
ওপেকভুক্ত প্রধান দেশগুলো হলো, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, কাতার, ভেনেজুয়েলা, আরব-আমিরাত, কুয়েত ও সৌদি আরব। ১৯৬০ সালে গঠিত হওয়া ওপেকের সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়।
সারাবাংলা/ এনএইচ