বোমা হামলা মামলায় গিয়াস উদ্দিন কাদেরকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ
৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে কারাবন্দি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের (গিকা) চৌধুরীকে পুলিশের ওপর বোমা হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মামলায় গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিস্ফোরক আইনের মামলাটিতে গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি দেন চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম কামরুন নাহার রুমি।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) বিজন কুমার বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেওয়ার পর আদালতে গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন। আমরা এর বিরোধিতা করে আদালতকে জানিয়েছি-বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। এরপর আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।’
গত ৪ আগস্ট ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের লায়লা নুর ডিগ্রি কলেজ এলাকায় ককটেল হামলার ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিল বলে জানান বিজন বড়ুয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ছয় মাস আগে দায়ের হওয়া পাঁচটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে গত ২২ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন এই বিএনপি নেতা। গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছোট ভাই।
নিজ বাড়ি রাউজান উপজেলার পাশের আসন রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম-৭) ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। ঋণখেলাপি হওয়ায় বাছাইয়ে বাদ পড়েছে তার মনোনয়ন পত্র।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চলতি ২৯ মে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক আলোচনা সভায় গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনার বাবার চেয়েও আপনার অবস্থা খারাপ হবে। আপনার বাবার মৃত্যুর পর যেমন ইন্নালিল্লাহ পড়ার লোক ছিল না, আপনার পরিণতি তার চেয়েও খারাপ হবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেওয়া, সেই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ এবং উসকানি দেওয়ার অভিযোগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঁচটি, ফটিকছড়ি থানায় একটি এবং মহানগর হাকিম আদালতে দুটি মামলা দায়ের হয়েছিল।
সারাবাংলা/আরডি/এমও