জাহাজ শ্রমিককে হত্যার ২ দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল লাশ
৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:২৬
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তেলের জাহাজের এক শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যার পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হত্যার দুইদিন পর সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বন্দর এলাকার আমিরাবাদ ডকইয়ার্ড থেকে জাহিদ নামে ওই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত জাহিদ পিরোজপুর জেলার চল্লিশা গ্রামের আমির আলীর ছেলে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপরাশেন) আজিজুল হক জানান, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদের সহকর্মী মামুন ও সোহেল পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, জাহিদসহ তারা কয়েকজন এসও এলাকার তেলের ব্যবসায়ী ইকবালের মালিকানাধিন এস.এস. ইশান-২ নামক একটি লাইটার জাহাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে জাহিদের বন্ধু মাইনুদ্দিন তাদের সঙ্গে দেখা করতে ওই জাহাজে আসেন। এসময় মাইনুদ্দিন চটপটি খাওয়ার কথা বলে জাহিদ, মামুন এবং সোহেলকে নিয়ে নৌকায় করে আদমজী বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এসময় নৌকায় মাইনুদ্দিনের সঙ্গে অপরিচিত আরো তিন ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু নৌকা ঘাটে না ভিড়িয়ে আদমজী ইপিজেডের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন মাইনুদ্দিন। ইপিজেড এলাকায় পৌছালে হঠাৎই মাইনুদ্দিন বড় একটি ধারালো ছোরা বের করে জাহিদের মাথা ও শরীরে আঘাত করতে থাকেন।
এ দৃশ্য দেখে ভয়ে সোহেল নদীতে লাফ দেন। এসময় মামুনও লাফ দিতে গেলে মাইনুদ্দিনের সঙ্গে সাথে থাকা লোকজন তাকে ধরে ফেলে। তাকেও মারতে শুরু করলে প্রাণ ভিক্ষা চান মামুন। বিকাশে টাকা দেওয়ার অঙ্গীকারে ও কাউকে কিছু না বলার শর্তে বেঁচে যান তিনি।
তবে পরে মামুন ও সোহেল থানায় গিয়ে পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানান।
এর ধারাবাহিকতায় বিকেলে জাহিদের লাশ উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। রাজশাহীর বাসিন্দা মাইনুদ্দিনকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সারাবাংলা/এসএমএন