আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৬
৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:০১
।। লোকাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সাভার : সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে গার্মেন্টসকর্মী স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিত ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকা থেকে অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- নরসিংহপুর এলাকার জাহিদুল ইসলাম (২৩), আজাদ হোসেন (২৫), রানা সরকার (২৯), কোণাপাড়া এলাকার রবিউল শেখ (২১), রুবেল (২৩) ও ঘোষবাগ এলাকার সাগর হোসেন (২৫)। তবে রজব নামে জড়িত একজন পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নরসিংহপুর এলাকার নাছির নামে এক ব্যক্তির বাড়ির একটি কক্ষে আটেক থাকা ওই নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজিকুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যায় নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান তার স্বামী। এসময় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য তাহের মৃধার ম্যানেজার রজন, তার সঙ্গী রবিউলসহ সাত জন ঐ দম্পতিকে আটক করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী কি না সে ব্যাপারে জানতে চান। পরে সোনা মিয়া মার্কেট এলাকার নাছিরের বাড়িতে তাদের দুইজনকে আলাদা কক্ষে আটকে রাখেন। এসময় রাজনসহ তার সঙ্গীরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই দম্পতির পরিবারের সদস্যদের টেলিফোন করে দুইজনের মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার রাত ১টার দিকে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার শর্তে ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেদিন রাকেই সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় রবিউল ও রুবেল মুক্তিপণের টাকা নিতে গেলে তাদের হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
এরপর রবিউল ও রুবেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) ভোররাতে সোনা মিয়া মার্কেট সংলগ্ন ইয়াপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাহের মৃধার অফিস থেকে এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য তাহের মৃধা এলাকায় ধর্ষণ, চুরি, স্বেচ্ছাচারিতা, অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে এদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে।
এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তাহের মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভাই নিউজ কইরেন না বিষয়টি আমি দেখবো।’
সারাবাংলা/এসএমএন