বুধবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের
৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:২৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামীকাল বুধবারও (৫ ডিসেম্বর) কোন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। সকাল ১০ টায় স্কুল গেটের সামনে তারা পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো তিনটি দাবি হলো, স্কুলটির প্রিন্সিপাল নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরার স্থায়ী বহিষ্কার, গভর্নিং বডি বাতিল করা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের উপযুক্ত আইনে বিচার করা।
শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাস তিন দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও শিক্ষার্থীরা জানায়।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষত জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া, আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শান্তিনগরে নিজের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে অরিত্রী। অরিত্রীর স্বজনরা জানায়, পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সে রোববারের (২ ডিসেম্বর) পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে যায়। সে মোবাইল থেকে নকল করেছে— এমন অভিযোগে শিক্ষকরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়। পরে সোমবার সে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেলেও মোবাইলে নকল করার জন্য তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে তলব করে। পরে অরিত্রীর বাবা-মা স্কুলে গেলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, নকল করার জন্য স্কুল থেকে অরিত্রীকে ছাড়পত্র (টিসি) দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসার পর মেয়েকে স্কুলে রাখতে তদবিরের চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। এর মধ্যে অরিত্রী নিজের ঘর বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়।
অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার জন্য শিক্ষক দায়ী, এমন অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ করছে অরিত্রীর সহপাঠী ও অন্য শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/এমএস/এনএইচ