লড়াইয়ের মাঠ ছাড়ছি না: মান্না
৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৫৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই হিসেবে গ্রহণ করে এই লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার আশাবাদ জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে দেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে না। আগামী নির্বাচনও ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য হবে কি না— তা নিয়েও গুরুতর সন্দেহ রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন ও সরকার মিলে যা-ই করুক না কেন, নির্বাচনে লড়াইয়ের মাঠ ছাড়ছি না। কারণ এই নির্বাচনকে গণতন্ত্র রক্ষার একটি লড়াইয়ের অংশ হিসেবে নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে জয়ী হব।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘বর্তমান নির্বাচন পরিস্থিতি এবং নির্বাচনি এলাকা’ এক সংবাদ সম্মেলনে মান্না এসব কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না তার লিখিত বক্তব্যে দেশের সর্বশেষ নির্বাচনি পরিস্থিতি ও নির্বাচনি এলাকা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে মান্না অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আচরণ আমাদের সমাজে এই সন্দেহ প্রতিদিন আরও শক্তিশালী করছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিরোধী দলের জন্য পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হওয়ার প্রত্যাশাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন নতুন করে পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও বেশি খারাপ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের একাকার হয়ে যাওয়া জনগণের মনে এই শঙ্কা তৈরি করছে, সরকার একটি নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় থেকে যেতে চাইছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে। সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিং করার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন তা করছেন কিনা জানি না। হয়তো তাদের লাইনমতো সোস্যাল মিডিয়াগুলো মনিটরিং করছে। সরকার নির্বাচন পরিস্থিতি সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে’র ধারে কাছেও নেই। একদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বাড়ানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হচ্ছে। সমঝোতা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। খুব শিগগিরই সমঝোতা হয়ে যাবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থিতা সেটেলমেন্টের পর নির্বাচন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে শক্ত কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামব।
পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মান্না বলেন, আপনারা এই দেশেরই সন্তান। জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়। রাষ্ট্রীয় বাহিনী হিসেবে রাষ্ট্র ও জনগণের সেবা করুন। বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের যেভাবে হয়রানি করছেন, তাদের সঙ্গে যেভাবে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছেন, তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করুন। সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা তৈরি হলে যে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হবে, সেটার দায় পুলিশ প্রশাসনকে নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম ও স্থানীয় নেতা মতিয়ুর রহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার, কবিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসও/এএইচএইচ/এমএইচ