Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ. লীগের ইশতেহারে প্রাধান্য পাবে দারিদ্র্য দূরীকরণ: অর্থমন্ত্রী


৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:৫৬

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দারিদ্র্য দূরীকরণই প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আমাদের সরকারের লক্ষ্য ছিল একটি। সেটি হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ। যে দেশের ৩০ শতাংশ লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে ছিল সে দেশের এছাড়া দ্বিতীয় কোন উদ্দেশ্য থাকা উচিৎ নয়। এখনো আমাদের ২০ শতাংশের বেশি দারিদ্র্য রয়েছে। সেজন্য আমাদের এখনও একই লক্ষ্য থাকা উচিৎ। দারিদ্র্য দূরীকরণ সেটাই আমাদের প্রধান টার্গেট। সেটা নির্বাচনী ইশতেহারেও থাকবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এ পুঁজিবাজার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অর্থমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আবার জিতবে। আগামী ১০ বছর পর দেশে কোন দারিদ্র্য থাকবে না। দারিদ্র্য দূরীকরণই আওয়ামী লীগের স্লোগান। ১০ বছর এক সাথে পাওয়া মানে দারুণ উপকারী। ১০ বছর এক সাথে সুযোগ বেড়ে যায়। আমরা সে সুযোগ ভোগ করেছি।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, পুঁজিবাজার আওয়ামী লীগের কলঙ্কের মতো হয়ে গিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গঠন করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা নিই। পুঁজিবাজার ফুঁলিয়ে-ফাপিয়ে (বাবল) সৃষ্টি করা হয় এবং সেটির পতনও হয়, এগুলো যাতে না হয়। কাজটি তারা সার্থকভাবে সম্পন্ন করেছে।

বিজ্ঞাপন

মুহিত বলেন, বর্তমানে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাথা ব্যথাও দূর হয়েছে। তাদের কাজ তারাই করে। তারা কোন উপদেশ নেয় না, আমরাও দেই না। সিইসি সত্যিকার অর্থেই পুঁজিবাজার সৃষ্টি করতে পেরেছে। বাজার বিস্তৃত হয়নি। তবে আইপিও ভালোভাব হচ্ছে। পুঁজিবাজার নিয়ে আমি চিন্তিত নই, উচ্চ মানের পুঁজিবাজার সৃষ্টিতে তারা সক্ষমতা অর্জন করেছে।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি অবসরে যাচ্ছি। কিন্তু অবসর মানেই বিদায় নয়। অবসরে যাওয়া মানে সেখানে দৈনন্দিন কাজের রুটিন থাকবে না, আমি সেই অবস্থায় যাচ্ছি। আই শ্যাল লিড এ পাবলিক লাইফ। আজরাইল না আসা পর্যন্ত আপনারা আমাকে বিদায় করতে পারবেন না। বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেনসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা এতে বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমএইচ

অর্থমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর