বাংলামোটরে বাবার হাতে ছেলে খুনের অভিযোগ, বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:২৪
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: রাজধানীর বাংলামোটরে একটি বাসায় মাদকাসক্ত বাবার হাতে তিন বছরের ছেলে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বাবা তার আরেক ছেলেকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখেছে বলেও জানিয়েছেন মাদকাসক্তের ভাই ।
বাড়িটিকে পুলিশ ঘিরে রাখলেও মূল দরজা বন্ধ রেখে মাদকাসক্ত ঐ ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাধা দেওয়ায় ভেতরে ঢুকতে পারছে না কেউ।
বুধবার ( ৫ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর বাংলামোটরের একটি বাড়িতে এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দরজা খোলার চেষ্টা চলছে। আমরা এখনও ভেতরে ঢুকতে পারেনি। কারণ মূল ফটকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাদকাসক্ত নুরুজ্জামান দাঁড়িয়ে আছেন। তার ছেলেটি মৃত -সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু কিভাবে মারা গেছে তা এখনও জানিনা।
এদিকে নুরুজ্জামানের ভাই উজ্জ্বল গণমাধ্যমকে জানান, বাংলামোটরের ১৬ লিংক রোডের দ্বিতীয় তলার নিজের বাসায় দুই শিশু সন্তান- সাফায়েত ও সুরায়েতকে নিয়ে থাকেন তার ভাই । তবে অনেকদিন থেকে মাদকাসক্ত থাকায় তার দুই স্ত্রীর কেউ তার সঙ্গে থাকতেন না। সাফায়েতকে ( তিন বছর) খুন করে তার ভাই সুরায়েতকেও ( ৫ বছর) জিম্মি করে রেখেছে বলেও জানান নুরজ্জামানের ভাই।
এদিকে বেলা সাড়ে এগারটার দিকে র্যাব-২ এর উপ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম পরিস্থিতি বুঝতে কৌশলে বাড়িটির ভেতরের একপাশে যান। ফিরে এসে তিনি জানান, একটি টি টেবিলের ওপর বাচ্চাটাকে কাফন পরিয়ে রাখা হয়েছে। এমসময় তিনি মাদকাসক্ত ওই বাবার কাছে জানতে চান তার সহযোগিতা প্রয়োজন কিনা? উত্তরে তিনি বলেন, কাউকে লাগবে না। আমি ১টার দিকে বের হয়ে আজিমপুর গিয়ে ছেলেকে দাফন করব। আপনাদের কে ডেকেছে? আপনাদের কাউকে লাগবে না।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তার হাতে সবসময় একটি রাম দা রয়েছে । শহিদুল জানান, সকালবেলায় তিনি একজন মৌলভীকে ঘরে ডেকে নিয়ে গেছেন।আবুল হাসান জানান, এর আগে মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে নুরুজ্জামান কাজলকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৭টার দিকে নুরুজ্জামান তার আরেক ছেলে সুরায়েতকে কোলে নিয়ে একটি রাম দা হাতে বাসার সামনের রাস্তায় ঘোরাঘুরি করেছেন। তার আগে পাশের মসজিদের মাইকে জানিয়ে দেন তার ছোট ছেলে মারা গেছে
সকাল থেকে বাংলামোটরের ওই বাসাটি ঘিরে রেখেছে র্যাব, পুলিশ ,গোয়েন্দা সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। বাড়িটির চারপাশে ভিড় করে আছে উৎসুক মানুষ।
সারাবাংলা/ ইউজে/জেডএফ