ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ইস্যু: শুরতেই বেকায়দায় মে
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:৪২
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ইউরোপীয় কাউন্সিলে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে চুক্তিটি পার্লামেন্টে পাশ করতে চাইছেন। কিন্তু পাঁচ দিনের নির্ধারিত আলোচনার শুরতেই চুক্তিটিকে অবজ্ঞার চোখেই দেখলো পার্লামেন্ট সদস্যরা। খবর দ্য গার্ডিয়ান-এর।
বিলম্বে শুরু হওয়া আলোচনায় থেরেসা মে’কে সবচেয়ে বেশি সমালোচনায় পড়তে হয় সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ বিরণী প্রকাশ নিয়ে। ব্রেক্সিট চুক্তির ‘আইনি নীতিমালা’ প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ে ৩১১-২৯৩ ভোটে হেরে গেছে তার সরকার। জাতীয় স্বার্থ উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল জেওফ্রি কক্স ওই নীতিমালার আংশিক সোমবার প্রকাশ করেন। তবে পাঁচটি বিরোধী দল ও কনজারভেটিভ সরকারের জোট নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিওনিস্ট পার্টিও পুরো দলিলটির প্রকাশ দাবি করেছে। ভোটের পর সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ বিবরণীটি প্রকাশের কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে অগ্রাধিকার হারাবে ইউরোপীয় অভিবাসীরা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে যুক্তরাজ্যের জন্য অধিকতর ভালো ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা চুক্তিটির মাধ্যমে দেওয়া যাবে বলে আবারও জোর আরোপ করেছেন মে। তবে তিনি এও স্বীকার করে নেন ব্রেক্সিট চুক্তিটি শতভাগ যথার্থ নয়। মে বলেন, এটা কখনোই ‘পারফেক্ট হবে না’ আলোচনার ধরন এমনই হয়ে থাকে।
লেবার দলের প্রার্থী জেরেমি করবিন জানান, মে যদি ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাশ করতে না পারেন। তাহলে তার দল মে’র বিপক্ষে পার্লামেন্টে অনাস্থা চাইবে।
উল্লেখ্য, ব্রেক্সিট চুক্তিতে গ্রহণ অথবা প্রত্যাখানের সিদ্ধান্তে পার্লামেন্ট সদস্যরা আগামী মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত ভোট দিবেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাবার করণীয় ঠিক করবেন। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টা থেকে যুক্তরাজ্য ও ইইউর সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হবে। ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের ইইউ’তে থাকা প্রশ্নে হওয়া এক গণভোটে দেশটির ৫২ ভাগ লোক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন।
সারাবাংলা/এনএইচ