অন্ধকারে ঢিল মারলে হবে না: কাদের
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩২
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিএনপিকে ইসির বিষয়ে তথ্য প্রমাণ দিয়ে কথা বলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ‘বেছে বেছে বিএনপির জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন বাদ করছে নির্বাচন কমিশন’। বিএনপির এমন বক্তব্যের সমালোচনায় এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘তথ্য প্রমাণ দিয়ে তাদের (বিএনপি) এটা বলতে হবে। অন্ধকারে ঢিল মারলে হবে না। নির্বাচন কমিশনে বিএনপির লোকও আছে, আওয়ামী লীগের লোকও আছে। বিভিন্ন দল থেকে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে।’
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, এখন যারা নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠনের কথা বলেন তারা নির্বাচন বানচাল করতে চান। কারণ, এখন কমিশন পুনরায় গঠনের কোনো বাস্তব সম্মত অবস্থা নেই।
তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে গণহারে মনোনয়ন বানিজ্য করেছে বিএনপি। তাদের ১৪১ জন বাদ যাওয়ার পরেও ৫৫৫ জন এখনও রয়ে গেছে। অথচ নির্বাচন করবে তিন’শ জন। যে টাকা দিয়েছে বিএনপি তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা মাত্র ১৬ জনকে ডাবল মনোনয়ন দিয়েছি। এর মধ্যে তিনজন বাদ গেছে।
বিএনপি এত মনোনয়ন বিক্রি করলো তাহলে এটা কি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। অতীতেও তারা এরকম করেছে। তাদের দলে দুর্নীতি অস্থি-মজ্জার সঙ্গে মিশে আছে। দুর্নীতির জন্য এ দলের খ্যাতি আছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আরেকটা হাওয়া ভবন হবে। এই দল দুর্নীতিতে পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কানাডার ফেডারেল আদালত এ দলকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছে। সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ দলের দুর্নাম তারা কি ভাবে মুছবে। প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটা বিএনপির সাংগঠনিক দেউলিয়াত্ব পরিচয়। সংগঠনের কোনো শৃংখলা নেই। শৃংখলা থাকলে এভাবে মনোনয়ন বানিজ্য হয় নাকি? বিতর্কিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার অর্থ হচ্ছে টাকা- পয়সার জোগান বেশি দেয়া। এর সঙ্গে নির্বাচন বানচালের কৌশল আছে বলে মনে করি না। তবে বিভিন্নভাবে তারা নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের পদ চলে চাওয়ার বিষয়ে কাদের বলেন, এটা জাতীয় পার্টির ইন্টারনাল ব্যাপার। এরশাদ সাহেব কাকে রাখবেন, কাকে রাখবেন না, এটা তাদের গঠনতন্ত্রে আছে। বিএনপির অবস্থাও তাই। চেয়ারপারসন চাইলে এক খোঁচায় ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বাদ দিতে পারে। আওয়ামী লীগে এ সিস্টেম নাই। আওয়ামী লীগের একটা নিয়ম আছে। আওয়ামী লীগ কাউকে বাদ দিতে চাইলে কাউন্সিল ডাকতে হবে।
তিনি বলেন, একজিস্টিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক বা কোনো গুরুত্বপর্ণ ব্যক্তিকে বাদ দিতে হলে কাউন্সিলে পাশ করাতে হবে। কিন্তু বিএনপির চেয়ারপারসনের এক খোঁচায় যে কোনো সময় যাকে ইচ্ছা তাকে বাদ দেওয়া যেতে পারে। জাতীয় পার্টিরও একই অবস্থা। এটা তাদের দলেরই নিয়ম। আওয়ামী লীগের এই সিস্টেম নেই।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/জেএএম