শেখ হাসিনার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার খবর সঠিক নয়
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:১৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয়। ওই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রার্থীসহ আরও চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
নির্বাচন অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনাসহ সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ে বিএনপির এক প্রার্থী এসএম জিলানী ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী এজেএম অপুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। বাকি পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, বিএনপির এসএম আফজাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের মো. মারুফ শেখ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. উজির ফকির ও মো. এনামুল হক।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম বদরুল আলম বদর সারাবাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন বলে যে খবর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়েছে তা সত্য নয়। এই আসনে এখনও চারজন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। কিন্তু অনেকে সত্য ঘটনাটি না জেনে-শুনে অহেতুক মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব চালাচ্ছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে (টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া) এবং রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের কাছে এ মানোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। এরপর বেলা ১১টায় টুঙ্গীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নাকিব হাসান তরফদারের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন। এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মমিনের কাছে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর এবং পরে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন স্পিকার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ নভেম্বর দুইটি শেখ হাসিনার জন্য দুইটি ফরম কেনার মধ্যে দিয়ে একাদশ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের কাছে নৌকার মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দশম নির্বাচনের মতো এবারও শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসনের পাশাপাশি তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা রংপুর-৬ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি দুই আসন থেকেই জয়ী হন। পরে রংপুরের আসনটি ছেড়ে দিলে উপ-নির্বাচনে ওই আসন থেকে জিতে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গোপালগঞ্জ-৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা রংপুর-৬