জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৫
।।স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর প্রিতম-জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামী দুই দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আলাদা কোনো ইশতেহার হবে না— একটাই হবে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে আসায় সরকার বেকায়দায় পড়েছে মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তো এটা অনুভব করছি যে, সরকার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। তাদের প্রচণ্ড ধারণা ছিল যে, ২০১৪-তে যেনতেনভাবে নির্বাচন করে তারা ১০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। এবারও আমরা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) অপ্রস্তুত, আমরা তো নির্বাচনের অংশগ্রহণ করব না, তারা আরো পাঁচ বছর পেয়ে যাবে।’
‘কিন্তু যখনই আমরা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলাম, তখন থেকে দেখছি, তাদের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণেই আমরা মনে করি, আপনারাই হচ্ছেন পাহারাদার। আপনারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন। আপনারা পাহারা দিলে, আমরা আশা করি সরকার যতরকম সরকারের সব অপচেষ্টা মোকাবেলা করে মানুষের যেটা প্রাপ্য, সেটা আদায় করা যাবে’—বলেন কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, সেহেতু আমরা মনে করি এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরে আসবে। দেশে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, মানে গণতন্ত্রহীন একটা অবস্থার মধ্যে আমরা চলে আসছি, সেই ঘাটতি পূরণ করার জন্য এই নির্বাচন।’
ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একেবারে ভোর বেলা গিয়ে ওখানে দাঁড়াতে হবে। ভোট দিতে হবে। ভোট যেন এদিক, ওদিক না যায়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। কেননা এই নির্বাচনের যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। প্রথমত ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সরকার নিজেই তো বলেছে, এটা যেনতেন নির্বাচন, একটা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য নির্বাচন। আমরা দ্রুত আরেকটা নির্বাচন দেব।’
‘কিন্তু সেই নির্বাচন পাঁচ বছর টেনে নেওয়া হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম তারা এক বছর সময় নেবে। কিন্তু টেনে টেনে ২০১৮ সালে এসে এ নির্বাচন আমরা পাচ্ছি। সুতরাং এ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে জনগণ নিজের মালিকানা যেন আবার ফিরে পায়’— বলেন ড. কামাল হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আব্দুর রব, সুলতান মোহম্মদ মনসুর, মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুস সালামসহ অন্যারা।
সারাবাংলা/এজেড/জেএএম