ড. অনুপম সেনের আবারও দায়িত্ব বাড়লো ৪ বছর
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:০৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ড. অনুপম সেনের মেয়াদ আরও চার বছর বেড়েছে। চট্টগ্রামে বেসরকারি শিক্ষা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষে থাকা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৬ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন খ্যাতিমান এই সমাজবিজ্ঞানী।
গত ২ ডিসেম্বর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সম্মতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। এতে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিক্ষাবিদকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ আছে।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল আরেফীন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জিনাত রেহানা স্বাক্ষরিত এই আদেশে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৩১ (১) ধারা অনুযায়ী প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর পদে প্রফেসর ড.অনুপম সেন-কে যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের জন্য নিয়োগ প্রদানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও ভাইস-চ্যান্সেলর সম্মতি প্রদান করেছেন।’
এদিকে আরও চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে ড.অনুপম সেন নিয়োগ পাওয়ায় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে নিজ কার্যালয়ে অভিনন্দনে ভাসছেন উপাচার্য। নিজ নিজ বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিষ্টি বিতরণ করে, কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করছেন। এছাড়া ফুল আর শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজনেরাও।
১৯৪০ সালের ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডে জন্ম নেন অনুপম সেন। গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলার ধলঘাটে হলেও জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে চট্টগ্রাম শহরেই। ১৯৬৫ সাল থেকে ৫৩ বছর ধরে আছেন শিক্ষকতা পেশায়। শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষকতা করতে গিয়েই পাকিস্তান আমল থেকে সকল গণআন্দোলনে সম্পৃক্ত করেছেন নিজেকে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক, মানবিক সমাজ গড়ার আন্দোলনে পালন করেছেন অগ্রণী ভূমিকা। প্রগতিশীল সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে দেশে যেমন পেয়েছেন অকুণ্ঠ সম্মান, বিশ্বসভায়ও সম্মানিত হয়েছেন। শিক্ষায় পেয়েছেন একুশে পদক।
বাঙালির জন্য মানবিক, বৈষম্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটি দেশের স্বপ্ন দেখেন যারা, তাদের মধ্যে সামনের কাতারে আছেন ৭৮ বছর বয়সী এই শিক্ষাবিদ।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ