সাফায়াতের শরীরে জখমের একাধিক চিহ্ন মিলেছে
৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:২৮
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর বাংলামোটরে বাসা থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু সাফায়াতের শরীরে জখমের একাধিক চিহ্ন মিলেছে।
সাফায়াতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় জখমের এসব চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চম্পক চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন- খুনের অভিযোগ: ৬ ঘণ্টা পর বাবা আটক, জিম্মি আরেক ছেলে উদ্ধার
এসআই চম্পক চক্রবর্তী সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সাফায়াতের কপালের বাম পাশে দুইটি কালো জখম, থুতনির নিচে কালো জখম ও দুই ঠোঁটে কালো জখমের চিহ্ন আছে। তবে ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘শিশু সাফায়াতের ময়নাতদন্ত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বাংলামোটরের ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাফায়াতের মরদেহ উদ্ধার করে।
বাংলামোটরের ওই বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া সাফায়াতের ভাই সুরায়াত
জানা যায়, বাংলামোটারের ওই বাসাতে সাফায়াত (৩) ও তার বড় ভাই সুরায়াতকে (৫) নিয়ে থাকতেন নুরুজ্জামান কাজল। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে ওই বাসাতে থাকতেন তিনি। বুধবার সকালে নুরুজ্জামান পাশের মসজিদ থেকে ঘোষণা দেন, তার ছেলে মারা গেছে। এ সময় এক হুজুরকেও ডেকে বাসার ভেতরে নিয়ে যান তিনি। ওই হুজুরও বাসায় আটকা পড়েন। পাশাপাশি বাবার হাতেই জিম্মি হয়ে পড়ে তার বড় ছেলে সুরায়াত।
আরও পড়ুন- বাবার হাতে ছেলে খুনের অভিযোগ, বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ
এ খবর পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে ওই বাসার সামনে অবস্থান নিলে দেখতে পায়, বাসার গেটে তালা লাগিয়ে অবস্থান নিয়ে আছেন শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান কাজল। এ সময় নুরুজ্জামান দা হাতে ভেতরে পায়চারি করতে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই নিজের শিশু সন্তানটিকে হত্যা করেছেন।
বাসার ভেতরে থাকা সুরায়াত ও ওই হুজুরের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসাটির ভেতরে ঢুকতে দেরি করে। পরে ভেতরে থাকা হুজুরকে সাফায়াতের জানাজার কথা বলে তার বাবা নুরুজ্জামানসহ সবাইকে বেরিয়ে আসতে বলে। পুলিশের আশ্বাসে নুরুজ্জামান বেরিয়ে এলে পুলিশ তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
এ সময় শিশু সুরায়াতকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ও শিশু সাফায়াতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে