১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা
৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দুপুর ২টায় এই জনসভা শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে আবারো ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা কলাকৌশল ও নীল নকশা তৈরি করেছে সরকার। আর এই প্রহসনের অংশ হিসেবেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে গায়ের জোরে দূরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
‘বিপুল জনপ্রিয় খালেদা জিয়া ও জনগণকে শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ভয়। তাই আইন-ন্যায়বিচারের তোয়াক্কা না করে সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে’, বলেন রিজভী।
সরকারের পক্ষে ইসির নজিরবিহীন পক্ষপাতিত্ব ভোটারদেরকে হতাশ ও ক্ষিপ্ত করে তুলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচন সামনে রেখে দেশব্যাপী গ্রেফতারের মচ্ছব চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে গ্রেফতারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। গতকাল পর্যন্ত ২০০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চাপিয়ে দেওয়া শত শত মামলার বোঝায় নির্বাচনের মাঠ দূরে থাক, ঘরে পর্যন্ত থাকতে পারছে না ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থকরা। যারা ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন— এদের মধ্যে এখন ২৭ জন মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক আছেন।’
রিজভী বলেন, নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নামে-বেনামে, গায়েবি মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দিত্বের লাল দেয়ালের ভেতরে ঘিরে রাখা হয়েছে। মামলা আর পুলিশি হয়রানির কারণে নেতাকর্মীরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি এসব নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদেরও হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে কোনো হুমকি-ধামকি ভয়-ভীতি দেখিয়ে এবার আর লাভ হবে না বলে উল্লেখ করে রিজভী। তিনি বলেন, ‘যখন জনগণ ভোটের মাঠে নেমে আসবে তখন কোনো ফন্দি কাজে দেবে না। কাঁচের মতো সব কিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন জনগণের বিজয়ের দিন খুবই নিকটবর্তী। সরকারের কৌশলে জনগণ আত্মসমর্পণ করবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুর খায়ের ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/এসএমএন