আপিলেও বাতিল মীর নাসির, দুলু ও টুকুর মনোনয়নপত্র
৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৩১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির (মীর নাসির), নাটোর-২ (সদর ও নলডাঙ্গা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং সিরাজগঞ্জ-২ আসনে সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়নপত্র আপিলেও বাতিল হয়েছে।
ফৌজদারি মালমায় সাজাপ্রাপ্ত থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। পরে তারা আপিল করলে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন ভবনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যাহ্ন বিরতির পর শুনানিতে তাদের প্রত্যেকের আবেদনই নামঞ্জুর করে ইসি।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির প্রথম দিনে ১৬০টি আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানি শেষে ৮১টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৭৯টি আপিলে ৭৭টি মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল আছে। দুইটি মনোনয়নপত্র বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর এজলাস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে অমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার পাইনি। ইসির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।
আপিল শুনানির পর চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা মীর নাসিরও সাংবাদিকদের বলেন, ইসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন তিনি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের বিপরীতে জমা হওয়া আপিলের শুনানি গ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ২টার আগ পর্যন্ত একটানা একশ আপিলের শুনানি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ চার নির্বাচন কমিশনার। এই একশ আপিলের মধ্যে ৫৬টি আপিল গৃহীত হওয়ায় আবেদনকারীদের বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাকি ৪৪টি আপিলের মধ্যে ৪১ জনের আপিল নামঞ্জুর করা হয়। আবেদনকারী তিন জন অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের আপিলও নামঞ্জুর হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী-৩ আসনে সদ্য আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেওয়া গোলাম মওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল গৃহীত হওয়ায় তিনি বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হন। বিরতির পর সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা করে ইসি।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর