দুদকের অভিযানে পরীক্ষার্থীদের থেকে বেশি নেওয়া ১০ লাখ টাকা ফেরত
৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:৩৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ায় খুলনার বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়েছে। এসময় বাড়তি আদায় করা ৯ লাখ ১০ হাজার ৩৮০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছে ফেরত দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দুদকের অপর অভিযানে নরসিংদীর একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
দুদকের একটি টিম নরসিংদীর একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দেখতে পায়, ৭৫ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এসব পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণের সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে গ্রহণ করে।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে অতিরিক্ত হিসেবে নেয়া ওই অর্থ আগামী ১০ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের নিকট ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদির মৃধা বৃহস্পতিবার দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী-এর কাছে উপস্থিত হয়ে এ অঙ্গীকার করেন।
অপরদিকে, খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিযান চালায় দুদকের অপর একটি টিম। দুদকের ওই দল জানতে পারে, প্রতিষ্ঠানটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন এমপিওভুক্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলটি থেকে ২১৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি ২ হাজার ২০ টাকাসহ বিজ্ঞান বিভাগে ১০ হাজার ৪৫০ টাকা করে এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৬ হাজার ৬০ টাকা করে গ্রহণ করে।
বিষয়টি দুদক টিমের কাছে স্বীকার করে স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব শেখ নজরুল ইসলাম। আর দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে বিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ৯ লাখ ১০ হাজার ৩৮০ টাকা ফেরত দিয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনোক্রমেই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হতে পারে না। সরকার তথা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ অত্যন্ত অনৈতিক। এসব অপরাধ বন্ধে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও