জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হলে মানুষের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাবি: মানবসৃষ্ট কারণে বর্তমানে জীববৈচিত্র্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ সম্পর্কে নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন না হলে অদূর ভবিষ্যতে মানব অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) ‘টেকসই জীববৈচিত্র্যের জন্য প্রাণীদের আবাস সংরক্ষণ শীর্ষক দুদিনব্যাপী ২১তম জাতীয় সম্মেলন ও বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এমিরেটাস অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বাংলাদেশ এমন পরিবেশগত হুমকির মোকাবিলা করছে যার জন্য বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো দায়ী। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যে সব নদী প্রবাহিত হয়েছে, সেগুলোর পানিও সুষম মাত্রায় প্রবাহিত না হওয়ায় তা জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এটি প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সমঝোতার পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব পরিধি থেকে সচেনতা বাড়াতে হবে। বর্তমান মাত্রার পরিবেশ দূষণ চলতে থাকলে পৃথিবীতে মানব অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হলেও অতিরিক্ত জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক উৎসের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, পরিবেশ দূষণসহ নানা মানবসৃষ্ট কারণে তা হুমকির মূখে পড়েছে। পৃথিবীর বাস্তুসংস্থান টিকিয়ে রাখতে জীববেচিত্র্য সংরক্ষণ টিকিয়ে রাখতে হবে। এজন্য প্রাণীদের আবাসস্থল সংরক্ষণ করা আবশ্যক।

পরে ‘টেকসই জীববৈচিত্র্যের জন্য প্রাণীদের আবাস সংরক্ষণ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশিষ্ট প্রাণিবিজ্ঞানিরা অংশ নেন। এর আগে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি আয়োজিত‘প্রাণিবিদ্যা অলিম্পিয়াডে’র বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তপন কুমার দের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমায়ুন রেজা খান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সেলিমা খাতুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. অপরূপ চৌধুরী, প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ শফিউল আলম চৌধুরী, ভারতের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিমাই চন্দ্র সাহা, এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফএইচ আনসারী, ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ম্যালকম ডাব্লিউ ডিকসন, পিএসসির সদস্য মো. শাজাহান আলী মোল্লা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার প্রমুখ।

সারাবাংলা/কেকে/জেএএম