শেকৃবি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ৪
৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:০৯
।। শেকৃবি করেসপনডেন্ট ।।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির চেষ্টায় তিন শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জালিয়াতির দায়ে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির সময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।
আটককৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মোঃ ইকবাল মাহবুব, মোহাম্মদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মোছাঃ রাশিদা আক্তার রজনী, শেখ মজিব একাডেমি কেন্দ্র থেকে জয় পাল, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মোঃ মাহিম খান। এই চক্রের মূল হোতাদেরও আটক করার চেষ্টা চলছে।
আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শরীর চেক করে কর্তব্যরত শিক্ষক এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রোভারস গ্রুপের সদস্যরা এই চারজনকে আটক করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মিস ওয়াহিদা শাবাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করলে তাদের শেরেবাংলা নগর ও মোহম্মদপুর থানায় সোর্পদ করা হয়।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দার আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন্দ্র প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। তিনজন মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে ব্যবহার সময়ই ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সহকারে ধরা পরে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষায় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও ফোন নিষিদ্ধ থাকা শর্তেও এক শিক্ষার্থী এর মাধ্যমে উত্তরপত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিল। তাই আমরা তাকে সহ ৪ জনকে আটক করেছি।
আটককৃত ভর্তিচ্ছুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা দুই থেকে চার লাখ টাকার বিনিময়ে জালিয়াতি চক্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।
আটক হওয়া মাহিম খান বলেন, আমার সাথে একাজে জড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম অয়নব আমাকে বলেন যারা চান্স পায়, তারা এভাবেই চান্স পায় এবং উত্তর পাঠানোর পর যদি চান্স পাও তবেই ৪ লক্ষ টাকা নিব।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আটককৃতরা আরও জানান জালিয়াত চক্রের সাথে জড়িত এমন আরো অনেক পরীক্ষার্থী ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সহায়তা নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে যাদের ধরতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় সকল পরীক্ষার্থীকে যথাযথ চেকিং করে পাঠানোর কথা থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে তা মানা হয় নি। এর ফলে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ সকালে পরীক্ষা শুরুর পর বিভিন্ন পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক আনোয়ারুল হক বেগ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
পরীক্ষা ফলাফল ও ভর্তি সংক্রান্ত যেকোন তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.sau.edu.bd থেকে জানা যাবে।