তিন দানার চিনা বাদামে লাভবান সীমান্তের কৃষক
৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১০:১১
।। সোহেল রানা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
দিনাজপুর: দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলার অম্ল মাটিতে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে তিন দানার চিনা বাদাম। কম খরচ ও ফলন বেশি হওয়ায় নবাবগঞ্জ উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে চিনা বাদামের চাষ। একসময় শুধু বেলে মাটিতে চিনা বাদাম চাষ হলেও বর্তমানে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এই উপজেলায়। সহজে চাষযোগ্য হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন কৃষক।
এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমি অম্ল মাটির হওয়ায় একই জমিতে ধান ও বাদাম চাষ করতে পারছেন কৃষকেরা। তারা আমন মৌসুমে ধানের পাশপাশি কিছু জমিতে বাদাম ও ইরি-বোরো মৌসুমে শুধু মাত্র বাদামের চাষ করছেন। ৩ দানার এই চিনা বাদাম গ্রাম থেকেই বিক্রি হয়। যে কারণে পরিবহণ খরচও বেঁচে যাচ্ছে কৃষকের।
কুষ্টিয়াপাড়ার বাদাম চাষী রশিদ জানান, চিনা বাদাম চাষের জন্য কুশদহ ইউনিয়নের মাটি উপযোগী হওয়ায় আমরা প্রতি মৌসুমে বিঘা প্রতি প্রায় ১০ মণ পর্যন্ত বাদাম উৎপাদন করি। মৌসুমে মণ প্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দাম পাওয়া যায়।
বাদাম চাষী বারিক বলেন, ‘বাদাম চাষ করতে প্রতি বিঘায় প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি এক বিঘা মাটিতে ২০ হাজার টাকার বাদাম বিক্রি করেছি। বেশ ভালো লাভ হচ্ছে বাদাম চাষে ।’
আরেক চাষী হাবলু শেখ বলেন, ‘আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই গত বছর থেকে বাদাম চাষ শুরু করেছি। আমাদের বাদাম চাষে উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে বাদামের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।’
উপজেলা কৃষি অফিসার আবু রেজা আসাদুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সীমান্তের এসব উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পরীক্ষামূলক ভাবে মাত্র ৩ হেক্টর জমিতে চিনা বাদামের চাষ শুরু হয়। ফলন ভালো হওয়ায় বর্তমানে এসব উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হচ্ছে। তবে উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের বাদাম চাষীর সংখ্যা বেশি। তাদের বাদাম চাষের সফলতায় আশেপাশের উপজেলার কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে বাদাম চাষীদের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।’
সারাবাংলা/এমও