Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদা জিয়া ও আমি ন্যায়বিচার পাইনি: কাদের সিদ্দিকী


৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আজ নির্বাচন কমিশন তিন আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে। ঋণখেলাপির অভিযোগে আমার মনোননয়পত্র বাতিল করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ও আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যায়বিচার পাইনি।’

আপিলে ফেনী-১, বগুড়া-৬, ৭ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্তে বাতিল করেছে ইসি। একইসঙ্গে টাঙ্গাইল-৪ ও টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

নিজের মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘অনেক প্রার্থী এক শতাংশ কিস্তি পরিশোধ করে তাদের ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে। কিন্তু আমি ৪০ শতাংশ কিস্তি দেওয়ার পরও ঋণখেলাপির অভিযোগে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হলো।’

সারাবাংলাকে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। আমি এখানে ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করে এসেছিলাম। কিন্তু ন্যায়বিচার পাইনি। গত কয়েকদিন আমি ইসির আপিলের রায় পর্যবেক্ষণ করেছি। প্রতিটি রায়ে যেকোনো একজন কমিশনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে, বাকি কমিশনাররা তাতে দ্বিমত পোষণ করেনি। কিন্তু খালেদা জিয়ার বেলায় তার ব্যতিক্রম দেখলাম। ওনারটা মাহবুব তালুকদার বৈধ বললেও বাকি কমিশনাররা তা নামঞ্জুর করেন। নির্বাচন কমিশনকে দ্বিধাবিভক্ত দেখতে চাইনি। এটা জাতির জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না।’

নিজের মনোনয়ন পত্র বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ১৯৯৪ সালে ১৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। পরে নানান লম্বা হিসাব করে এটাকে ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা করা হয়, আমি তাতে কোনো আপত্তি করিনি। পরে এটা ২০১৫ সালে আরও বাড়িয়ে ৯ কোটি ৫৬ লাখ করে ৪২৭ নম্বর বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়। আর ওই সভায়ই টেবিলে বসে তা আরও বাড়িয়ে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা করা হয়। পরে আমাকে ব্যাংক ১০ শতাংশ সুদে ওই ঋণ পরিশোধের সুবিধা দেয়, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু আমি কালিহাতি উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ১ মাস পরই ব্যাংক আবার বলে পরিশোধের সব সুবিধা বহাল থাকবে কিন্তু ঋণটি কু-ঋণ হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অগ্রণী ব্যাংকের কাছে তলব করে জানতে চায় কেন ঋণটির তালিকা বারবার বদল করা হয়। আমার আইনজীবী অগ্রণী ব্যাংকের এমডির সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। অগ্রণী ব্যাংকের এমডি বলেছেন, তারা ওপরের নির্দেশ আমার প্রার্থিতার বিষয়ে আপত্তি দিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সব নিয়ম মেনে অগ্রণী ব্যাংককে একবার ২ কোটি, একবার ১ কোটি, আরেকবার ৩০ লাখ টাকা জমা দেই। আমি এ কথাও বলি আর কত টাকা দিলে আমি ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে মুক্তি পাবো, নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবো? আমি সিইসিকে বলেছি অনেকে ঋণের ১ শতাংশ পরিশোধ করেও নিয়মিত হয়েছে, আর আমি ৪০ শতাংশ পরিশোধ করেও নিয়মিত হতে পারিনি, তাই আপনার কাছে ন্যায়বিচার চাই। কিন্তু আমি ন্যায়বিচার পাইনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আমি ন্যায়বিচার পাইনি।’

আরও পড়ুন:
ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না খালেদা জিয়া

সারাবাংলা/জিএস/এমও/একে

ইসি কাদের সিদ্দিকী খালেদা জিয়া নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর