Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

একটি ইয়াবাতেও ছাড় নয়, শুরু হচ্ছে ৪ স্তরের যুদ্ধ


৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৬

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

কক্সবাজার : ইয়াবা পাচার রোধে চার স্তরে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একটি ইয়াবা পেলেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিওনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেছেন বিজিবির রিজিওন প্রধান।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান বলেন, ‘একটি মাত্র ইয়াবা পেলেও কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। ইয়াবা দমনে চার স্তরের যুদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে, মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবার প্রবেশ পথ বন্ধ, ইয়াবা গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা, ইয়াবা বহনকারী ও সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা।’

মতবিনিময়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজিবির ৩৪ ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনজুর হাসান বলেন, উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দারবানে ১৫৪ কিলোমিটার সীমান্তে মিয়ানমারের মত কাঁটাতার আর সীমান্ত সড়ক নেই বাংলাদেশে। নদী আর পাহাড়ে ভরা বিস্তীর্ণ সীমান্তে বিজিবি কঠোর নিরাপত্তা দিলেও কোনো না কোনো পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে। যদিও প্রতিনিয়ত বিজিবি হাতে আটক হচ্ছে ইয়াবা পাচারকারীরা। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সীমান্ত সড়ক আর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

নানা কৌশলে লোকজন মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে বলে জানান মনজুর হাসান। তিনি বলেন, ‘কেউ পেটের ভিতরে করে, আবার কেউ বাশেঁর ভিতরে, মাছের ঝুঁড়ির নীচে, তরমুজের ভিতরে, শিশুর হাতে থাকা পুতুলের পেটে করে, বালিশের ভেতরে এমনকি নারীদের স্পর্শ কাতর অঙ্গের ভিতরে সহ নানা কৌশলে ইয়াবা পাচার করছে। এদিকে বিজিবিও তাদের নতুন নতুন কৌশল ভেঙ্গে আটক করতে পাচারকারীদের।’

বিজ্ঞাপন

মতবিনিময়ে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোথাও মাদকদ্রব্য ইয়াবা তৈরির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা ৩৪টিরও বেশি কারখানা থেকে আসা ইয়াবা সীমান্ত পার হয়ে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। এসবের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ সহ বিজিবি’র পক্ষ থেকে বিজিপিকে জানানো হলেও তেমন কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনী বরাবরেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে ইয়াবার বিরুদ্ধে।

রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান আরো বলেন, মাদক নিমূলে সাংবাদিক সহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীকে দেশপ্রেমের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।

মতবিনিময়ে আরো বক্তব্য রাখেন, বিজিবি রামু-র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এস এম বায়েজীদ খান, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস রানা। এ সময় শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসএমএন

ইয়াবা বিজিবি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর