নাইকো দুর্নীতি মামলা: বিদেশি প্রতিবেদন গ্রহণের শুনানি ৩ জানুয়ারি
৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:১৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই ও কানাডার পুলিশের প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে ওই আবেদনের বিষয়ে আসামিপক্ষের আপত্তির বিষয়ে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ঠিক করেন। ওইদিন এ মামলার সব আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২২ নভেম্বর এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ প্রতিবেদন দাখিল ও তাদের সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘গত ২২ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেলের হাতে এফবিআই ও কানাডা পুলিশের প্রতিবেদন আসে। উভয় তদন্তে নাইকো কোম্পানির ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।’
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আ. রেজ্জাক খান বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে আমাদের আপত্তি আছে। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত। আশা করি আদালত আমাদের আপত্তির বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’
গত বছরের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।
২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গতবছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
সারাবাংলা/এআই/একে