জামায়াত ২২, ঐক্যফ্রন্ট ১৯, অন্য শরিক ১৮
৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ২৩:২৪
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের জন্য মোট ৫৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এই ৫৯টির মধ্যে জামায়াত ২২টি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১৯টি ও ২০ দলীয় জোটের বাকি শরিক দলগুলো পেয়েছে মোট ১৮টি আসন।
তবে এই ৫৯টি আসনের মধ্যে ৫৭টি আসনে শরিকদলগুলো ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন। বাকি দুইটি আসনের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম চট্টগ্রাম-১৪ আসনে লড়বেন তার দলীয় প্রতীক ‘ছাতা’ নিয়ে। আর জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ কক্সবাজার-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রতীকে লড়বেন।
জামায়াতের ২২ আসন
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না থাকায় জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। যে ২২টি আসন জামায়াত নেতাদের জন্য বিএনপি ছেড়ে দিয়েছে, সেগুলো হলো— ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে রফিকুল ইসলাম খান, খুলনা-৫ আসনে মিয়া গোলাম পারোয়ার, খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-১১ আসনে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শামসুল ইসলাম, কক্সাবাজার-২ আসনে হামিদুর রহমান আযাদ, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আসনে আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আসনে আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ আসনে মাজেদুর রহমান, সাতক্ষীরা-২ আসনে মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ আসনে গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম সাঈদী, বাগেরহাট-৩ আসনে আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আসনে আবদুল আলীম, যশোর-২ আসনে আবু সাঈদ মো. সাহাদাত হোসেইন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে মতিউর রহমান, পাবনা-৫ আসনে ইকবাল হোসেইন ও রংপুর-৫ আসনে গোলাম রাব্বানী।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১৯ প্রার্থী
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর জন্য ছেড়ে দেওয়া ১৯টি আসনের মধ্যে গণফোরামকে সাতটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) চারটি, নাগরিক ঐক্য চারটি এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ পেয়েছে চারটি আসন। এই ১৯ আসনে মনোনীত প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন।
গণফোরামের প্রার্থী যারা
সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), মোস্তফা মহসিন মন্টু (ঢাকা-৭), এ এইচ এম খালেকুজ্জামান (ময়মনসিংহ-৮), রেজা কিবরিয়া (হবিগঞ্জ-১), অধ্যাপক আবু সাঈয়িদ (পাবনা-১), আমসা আমিন (কুড়িগ্রাম-২) ও সুলতান মো. মনুসর আহমেদ (মৌলভীবাজার-২)।
জেএসডি
আ স ম আবদুর রব (লক্ষ্মীপুর-৪), আবদুল মালেক রতন (কুমিল্লা-৪), শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন (ঢাকা-১৮) ও সাইফুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জ-৩)।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী (টাঙ্গাইল-৮), লিয়াকত আলী (টাঙ্গাইল-৪), ইকবাল সিদ্দিকী (গাজীপুর-৩), মনজুরুল ইসলাম (নাটোর-১)।
নাগরিক ঐক্য
মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২), এস এম আকরাম (নারায়ণগঞ্জ-৫), শাহ রহমত উল্লাহ (রংপুর-১) ও নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর (বরিশাল-৪)।
অন্য শরিকদের জন্য ১৮ আসন
২০ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের ছেড়ে দেওয়া আসনের মধ্যে এলডিপি পাঁচটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম চারটি, খেলাফত মজলিশ দুইটি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) দুইটি, বিজেপি একটি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি, এনপিপি একটি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি একটি ও পিপিবি একটি আসন পেয়েছে।
এলডিপি
কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ (চট্টগ্রাম-১৪), নুরুল আলম (চট্টগ্রাম-৭), ড. রেদওয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষীপুর-১) ও সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ (ময়মনসিংহ-১০)।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
মাওলানা শাহিনুর পাশা (সুনামগঞ্জ-৩), মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস (যশোর-৫), মুফতি মুনির হোসেন (নারায়ণগঞ্জ-৪) ও ওবায়দুল্লাহ ফারুক (সিলেট-৫)।
খেলাফত মজলিশ
ড. আহমেদ আবদুল কাদের (হবিগঞ্জ-৪) ও আবদুল বাসিদ আজাদ (হবিগঞ্জ-২)।
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)
ডা. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী (গাইবান্ধা-৩) ও মোহম্মদ আহসান হাবিব লিংকন (কুষ্টিয়া-২)।
এছাড়া ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, নড়াইল-২ আসনে এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, রংপুর-৩ আসনে পিপিবির রিটা রহমান, চট্টগ্রাম-৫ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও পিরোজপুর-২ আসনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ধানের শীষ প্রতীকে।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর