Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৫০

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: খিলগাঁও জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) নাদিয়া জুঁইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজির, ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়ার আদালতে ‘সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্র’ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জিয়াউর রহামান মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণকরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার করার নির্দেশ দিয়েছে।

এজহারভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাছির উদ্দিন তুহিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফজলু, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ, কনস্টেবল আমিরুল, মাদক ব্যাবসায়ী নুর মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান স্বপন, পুলিশের সোর্স লুঙ্গি ফারুক ও রহমান।

বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সিএমএম আদালত-৩২ এর পেশকার আতিকুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি নুর মোহাম্মদ একজন মাদক ব্যবসায়ী, তিনি আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় মাদকশক্তি নিরাময় কেন্দ্রের নামে মাদকের আখড়া, নারী ব্যবসা চাঁদাবাজির সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেন। খিলগাঁও থানায় এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেয়নি। সাধারণ মানুষ প্রশাসন ও আদালতের আশ্রয়ে নিলে এসি নাদিয়ার সহযোগিতার ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। যারা অভিযোগ করেন এসি জুঁইয়ের সহযোগিতায় তাদের বিরুদ্ধে হামলা, গুম, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ২৩ জুলাই নুর মোহাম্মদ ও নাদিয়া জুঁইয়ের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক তদন্তে চিত্র এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরে গত ২৯ জুলাই জিয়াউর রহমানের তথ্য ও প্রযুক্তির আইনের মামলা দায়ের করা হয়। এর পরের দিন বাদীর পত্রিকা অফিস ডিআইটি রোড মালিবাগ রেলগেটে পুলিশ অভিযান চালায়।

সেখানে জুঁই ও মশিউর রহমান বাদে অপর আসামিরা উপস্থিত থাকে। সেখানে বাদীকে মারধর করা হয়। তার অফিস থেকে ৫ লাখ চার হাজার ৪০০ টাকার মালামাল এবং ৫শ কপি তদন্ত চিত্রের বর্ষ-২৪, সংখ্যা-৩৪ নিয়ে যায়। এই ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেন নুর মোহাম্মদ। ওইদিন তাকে গ্রেফতার করা হলেও ৩১ তারিখে রামপুরা থেকে বাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

আদালতে আনার আগে কনস্টেবল আমিরুল বাদীকে মারধর করে। পুলিশ তার ১০ দিন রিমান্ড চাইলে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে এনেই আসামি নাছির উদ্দিন তুহিন ও মাসুদ বাদীর স্ত্রী রেশমী রহমানকে ফোন করে এক মাদক ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার কান্না শুনিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই ঘটনার সব বিষয় বাদী মশিউর রহমানকে জানালে তিনি আরও মামলা দেওয়ার হুমকি দেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সারাবাংলা/এআই/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর