উন্নয়নের স্বার্থে তরুণদের ভোট দেয়ার আহ্বান বিশিষ্টজনদের
১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:২১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: উন্নয়নের স্বার্থে, শান্তির পক্ষে তরুণদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিন সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। অবশ্যই তরুণদের নিজেদের ভোট দিতে হবে।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হ্যাশট্যাগ # আইএম বাংলাদেশ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানানো হয়। রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টিজ সহ সামাজিক সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো: আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন, গাজী টেলিভিশন ও সারাবাংলা ডট নেটের এডিটর ইন চীফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান, এমসিসিআই সভাপতি নিহাদ কবির, বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, চিত্র নায়ক ফেরদৌসসহ আরও অনেকেই। এ সময় বিভিন্ন খাতের তরুণদের করা নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অতিথিরা।
সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, সিঙ্গাপুরে যেমন লিক উয়ান, মালয়েশিয়ায় মাহাথির মোহাম্মদ এবং জাপানে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তেমনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রিত দুর্নীতির দেশ গড়ে তুলতে হবে। তরুণদের নিজের বিবেক বিবেচনা দিয়ে সত্যের পথে ভোট দিতে হবে।
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, সাংবাদিকদের সবসময়ই প্রতিকূল পরিবেশে সংগ্রাম করে কাজ করতে হয়। সেখানে কোনো আইন দিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকরা তাদের কাজ করে যাবেই।
সাকিব আল হাসান বলেন, সব সময়ই কিছু পক্ষ ও বিপক্ষ থাকবে। কিন্তু দিন শেষে দেখা যাবে বোধ দিয়ে, চিন্তা দিয়ে মানুষ ঠিক কাজটিই করবে। সব বিষয়ে আপনাদের পারদর্শী হতে হবে না। যার যার জায়গা থেকে সেরাটাই করলেই হবে। তরুণরা শুধু চাকরির জন্য ঘুরবে না। এমন কিছু করবে যাতে সে নিজেই হাজার হাজার মানুষকে চাকরি দেবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যদি সত্যকে সত্য বলেন আর মিথ্যাকে সত্য বানাতে না চান তাহলে ডিজিটাল আইন কোনো সমস্যা হবে না। এই আইন সবার জন্যই করা হয়েছে।
নিহাদ কবির বলেন, তরুণদের শুধু পাঁচ বছর পর পর ভোট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে হবে না। তাদের পার্টটাইম নাগরিক হলে চলবে না, ইনগেইজ নাগরিক হতে হবে। তাহলেই তাদের কাঙ্খিত চাওয়া পূরণ হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, এমন বাংলাদেশ চাই যেদিন নির্বাচন হবে সেদিন কেউ টেরই পাবে না। সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলবে। তবে, শান্তির পক্ষে উন্নয়নকে ধারাবাহিকতা রাখতে তরুণদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
ফেরদৌস বলেন, সঙ্গীত উৎসবে যেমন মাইলের পর মাইল লাইন দিয়ে তরুণদের ঢুকতে দেখা যায়, ভোটের দিনও তেমনি সকাল সকাল তরুণদের ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে। দেশের জন্য স্বাধীনতার জন্য একটি ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সারাবাংলা/জেজে/জেএএম