‘ভোট আইলে সব নেতাই কয় চরে কেন্দ্র দিমু’
১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ২৩:৫০
।। লোকাল করেসপন্ডেন্ট ।।
মঠবাড়িয়া: পিরোাজপুরের মঠবাড়িয়ার বলেশ্বর নদের মাঝে বাস মাঝেরচনবাসীর। নদের মাঝে জেগে ওঠা ১২ একর আয়তনের এই চরে এক হাজার ৪০০ মানুষের বাস। অথচ এখানে নেই কোনো ভোটকেন্দ্র। ফলে গত ৪০ বছর ধরে সাড়ে তিন কিলোমিটার নদ পাড়ি দিয়ে এরপর দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে ভোট দিতে যেতে হয় চরবাসীকে।
চরের মোট ভোটারসংখ্যা ৪৩০ জন। তোদের নিকটবর্তী ভোট কেন্দ্র বেতমোড় ইউনিয়নের উলুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই কেন্দ্রে পৌঁছতে জলপথে পাড়ি দিতে হয় সাড়ে তিন কিলোমিটার। এরপর সাংরাইল খেয়াঘাটে নেমে আরও দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হয় কেন্দ্রে। ফলে বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ পড়েন বিপদে। ছোট শিশু কোলে থাকা নারীরাও পড়েন বিপাকে।
সুন্দরবনের কোলঘেঁসে জেগে ওঠা এই চরের বাসিন্দারা বহুদিন ধরেই চরে একটি ভোটকেন্দ্রের দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রতিবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয় না।
মাঝের চরের জেলে আবদুস সালাম জেলে (৭৮) বলেন, ‘প্রতিবার ভোট আইলে সব নেতারাই কয় চরে ভোটকেন্দ্র দিমু, কিন্তু পরে আর দেয় না। আমাগো দুর্ভোগ দেহার মত কেউ নাই।’
এই বয়সে কীভাবে এতোদূরের ভোটকেন্দ্রে যাবেন সেটাই ভেবে যাচ্ছেন এই বৃদ্ধ।
বেতমোড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম মাঝের চরে ভোটকেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করলেন।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. সরফরাজ বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন ওই চরে ৪৩০ জন ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন জটিল বিষয়। তাছাড়া চরটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নিরাপত্তা জনিত কারণে ভোট কেন্দ্র দেওয়া হয় না।’ তবে জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এসএমএন