আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ইসি বৈঠক বৃহস্পতিবার
১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:৩৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসি সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্থানীয় পর্যায়ের পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন এ বৈঠকে।
এরই মধ্যে ইসির যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। এ বৈঠকের পরই মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন, তারা কয়দিন, কীভাবে থাকবেন— সে বিষয়গুলো নির্ধারণ করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রথমবারের মতো গ্রাম পুলিশ সদস্যদের ভোটকেন্দ্রের রাখা হবে।
ইসি সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এবারের নির্বাচনে সাধারণ এলাকার ভোটকেন্দ্রের পাহারায় একজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য, মেট্রোপলিটন এলাকার ভোটকেন্দ্রে তিন জন পুলিশসহ ১৫ জন এবং দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার ভোটকেন্দ্রে দু’জন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহলে থাকবেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আচরণ বিধি প্রতিপালনে দেড় হাজারের বেশি জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।
সবমিলিয়ে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য মাঠে নামছেন।
এ নির্বাচনে মোট ১০ কোটি ৪২ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এবার ভোটের জন্য বরাদ্দ ৭০০ কোটি টাকার সিংহভাগই যাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। সেক্ষেত্রে ভোটের মাঠে তাদের অবস্থান বিবেচনা করেই অর্থ বরাদ্দ চূড়ান্ত হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি এলাকায় কতদিন থাকবেন, তাও আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন।
অন্যদিকে, ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের আগে-পরে চার দিন মাঠে থাকবেন। এ সময় নির্বাচনি অপরাধে সংক্ষিপ্ত বিচার করবেন তারা।
ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন পর্যন্ত মোট চার দিন মাঠে থাকবেন।
আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে মাঠে নেমে থাকবেন পরের দিন পর্যন্ত।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর