দলকে নয়, সমর্থন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: কোনো দল ও প্রার্থীকে নয়, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।
তিনি বলেন, আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। নির্বাচনে কোনো দলকে নয়, আমরা সমর্থন করি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব মন্তব্য করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পর্যবেক্ষক পাঠাবে। দূতাবাস সারাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করবে। তিনি বলেন, সকল দল যেন অবাধে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সবাই যেন নির্বাচনী প্রচারনায় সমান সুযোগ পায়। সভা সমাবেশের সুযোগ পায় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু জানতে চাইলে রবার্ট মিলার বলেন, ‘আসছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। আমরা বলেছি, সকল দল যেন অবাধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এবং রাজনীতি করার সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং র্যালি করার সুযোগ পায় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে বলেছি। কারণ, যেকানো বিতর্কের মধ্যে দিয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র আরো বিকশিত হয় ’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আশা করি নির্বাচনে সকলেই শান্তিপূর্ণ আচরণ করবে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দুরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে থাকে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করে।।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি (ভোটার) অংশ নেবেন। আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়টিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করে।
তিনি আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রাক মূল্যায়ন দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই। পরবর্তীতে ডিসেম্বরেও এরকম আরও একটি দল পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’ দু’জন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ইলেকশন পর্যবেক্ষকও পাঠাবে।
মার্কিন দূতাবাস পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করবে সারাদেশে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষককে অর্থায়ন করবে। যারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিওজি) হয়ে কাজ করবে। যোগ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম