পাট শিল্পের উন্নয়নে প্রয়োজন প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ
১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:০৬
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পাট শিল্প ধ্বংস হয়নি তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নেতিবাচক কিছু কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্পের বিপর্যয় ঘটেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রযুক্তির সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়া পাট শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব হবে নয়।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে একশনএইড বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কমিটি আয়োজিত ‘পাট খাতের বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ বিষয়ক এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পাট ও পাট শিল্প রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন বলেন, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত যেসব আইন রয়েছে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অথচ পাটকে যদি বহুমুখী পণ্যের জায়গায় নিয়ে যেতে পারি তাহলে দেশের ভবিষ্যতই ভাল হবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভাল লবিস্ট এবং ভাল মানের পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা গেলে পাট শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং দুর্নীতিগুলো কাঠোরভাবে দমন করতে হবে। কারণ সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবেই এই শিল্পটি পিছিয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ২১৫টি পাটকল রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৫১টি বন্ধ। আর বর্তমানে দেশে ৬১টন পাট ব্যবহার করা হয়, রপ্তানি করা হয় ১৪ টন। কিন্তু তারপরও এই খাতটির এতো খারাপ অবস্থা। পাটশিল্প কিন্তু ধ্বংস হয়নি। তবে এই শিল্পের বৃহত্তম অংশ যেটা সরকারের অধীনে ছিল তার বিপর্যয় ঘটেছে।
একশনএইড বাংলাদেশ-এর পরিচালক আসগর আলী সাবরী বলেন, বর্তমানে পাট খাতের সমস্যা দূরীকরণে জুট প্যাকেজিং অ্যাক্টের কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, পাটকলগুলোর লোকসান কমাতে কলগুলোর লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি দক্ষ বাজারজাত ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পাট শিল্পের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি সুপারিশমালা উত্থাপন করা হয়।
সম্মেলনে আরও বলা হয়, মধ্যস্বত্বভোগীদের যোগসাজশে নির্ধারিত মৌসুমে কাঁচা পাট কিনতে পারেন না সংশ্লিষ্টরা। পাট মৌসুম শেষে দ্বিগুণ দামে পাট কিনে নেন। এতে পাটকলগুলো ক্রমাগত লোকসান গুনছে। এক হিসেবে দেখা যায়, বর্তমানে পাটকলগুলো ৬০-৬৫ হাজার টাকায় কাঁচা পাট কিনে এবং বিক্রি করে ৮৫ হাজার টাকায়। আর এর সঙ্গে উৎপাদন ব্যয় যোগ করলে কোন লাভ-ই থাকে না।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একশনএইড বাংলাদেশ-এর ডেপুটি ম্যানেজার রেজোয়ান সিদ্দিকী।
সারাবাংলা/এসও/এনএইচ