Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১০ বছর পর ভোটের মাঠে জোর প্রচারণায় নোমান-খসরু


১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:২৭

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দীর্ঘ ১০ বছর পর ভোটের মাঠে কোমর বেঁধে গণসংযোগে নেমেছেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনের প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর জেল রোডে আমানত শাহ’র মাজার জেয়ারতের মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেছেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর) আসনের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান। অন্যদিকে নগরীর ছোটপোল এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে শুরু করেছেন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনের প্রার্থী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রাজনীতিতে দীর্ঘসময়ের স্থবিরতা কাটিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে এই প্রাণচাঞ্চল্য।

তবে প্রচারে নেমেও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনছেন বিএনপির প্রার্থীরা। হয়রানি-নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ভোটারদের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন তারা।

আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী তার বক্তব্যে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ না থাকার অভিযোগ করেন। পুলিশ তার নির্বাচনি এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।’

আমীর খসরু বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রশ্নই ওঠে না। সরকরি সংস্থা ব্যবহার করে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে না পায়। তারা সরকারি সংস্থা ব্যবহার করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। তবে জনগণ এবার তাদের পরাজিত করবে।’

চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রথম ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালেও তিনি এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তবে ২০০৮ সালে তিনি পরাজিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী চট্টগ্রাম চেম্বারের তৎকালীন সভাপতি এম এ লতিফের কাছে।

গণসংযোগে নেমে আবদুল্লাহ আল নোমানও তার নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানির অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের যে ওয়াদা করেছিল তার বরখেলাপ করা হচ্ছে। প্রশাসন যে কার্যক্রম শুরু করেছে তাতে নির্বাচনে টিকে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ছে।’

নোমান বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে দায়ী থাকতে হবে।’

আমানত শাহ মাজার থেকে বাসায় ফিরে নোমান দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর বিকেলে আবদুল্লাহ আল নোমান গণসংযোগ করেন নগরীর ওয়াসার মোড়ে।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসন থেকে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন একসময়ের ভাসানীপন্থী তুখোড় বামপন্থী নেতা ও বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।

২০০৮ সালে আসন পরিবর্তন করে তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে নির্বাচন করেন। তবে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা.আফছারুল আমিনের কাছে পরাজিত হন। এবারও নোমানের প্রতিদ্বন্দ্বী আফছারুল আমিন।

সারাবাংলা/আরডি/এফইউ

চট্টগ্রাম নির্বাচন প্রচারণা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর