সুধাসদন থেকে নির্বাচনি কাজ পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী
১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ২০:১৭
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: গণভবন নয়, নির্বাচনি কাজে ধানমন্ডির সুধাসদন ব্যবহার করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর নিজের বাড়ি সুধাসদন থেকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের যাবতীয় নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তিনি। আওয়ামী লীগের একাধিক জেষ্ঠ্য নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে জানান, নির্বাচন আচরণবিধি মেনেই দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনি প্রচারণা চালাবেন। এই সময় তিনি কোনো ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেবেন না।
নানক জানান, আগামীকাল (বুধবার, ১২ ডিসেম্বর) নেত্রী (শেখ হাসিনা) টুঙ্গীপাড়া যাবেন। পরদিন সেখান থেকে ফিরে সুধাসদনে বসে তিনি নিয়মিত নির্বাচনের কাজ করবেন।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনি কার্যক্রম সমন্বয় ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) থেকে সুধাসদনে নিয়মিত বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে সুধাসদনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
নেতারা জানান, সুধাসদনের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক, সাক্ষাৎ ছাড়াও এখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি জেলায় অনুষ্ঠেয় নির্বাচনি জনসভায় অংশ নেবেন। এজন্য এরই মধ্যে সুধাসদনে ভিডিও কনফারেন্সের পৃথক রুম করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা আরও বলছেন, নির্বাচনে সরকারি কোনো ধরনের সুয়োগ-সুবিধা নিচ্ছেন না বলেই বুধবার সড়কপথে নির্বাচনি প্রচার শুরু করছেন শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় নামছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার শুরু করবে দলটি। বিকালে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় পৃথক দুটি নির্বাচনি জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকা ফিরবেন।
এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে আট বিভাগের জন্য আটটি টিম মাঠে নামছে। এই টিমগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জেলায় জেলায় নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেবেন। আর কেন্দ্রীয়ভাবে কাজগুলোর সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া নির্বাচনি কাজে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মনোনয়ন বঞ্চিত চার নেতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে।
দলীয় সূত্র জানায়, এছাড়া এবার যেসব নেতারা দলের মনোনয়ন পাননি তারা প্রত্যেকেই একাধিক জেলা ও নির্বাচনি এলাকায় সফর করবেন।
সারাবাংলা/এইচএ/টিআর