Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এগিয়ে চলছে শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাজ


১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:৪৩

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে জামালপুরে শুরু হয় শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের কাজ। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ টাকার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি খরচ হয়েছে এবং কাজের বাস্তব অগ্রগতিও প্রায় অর্ধেক।

গত ৫ নভেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরীরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। সভার কার্যবিবরণী জারি করা হয়েছে ২৭ নভেম্বর। ওই সভার তথ্য অনুযায়ী, ২৮১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার এই প্রকল্পে এরই মধ্যে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। এতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ শতাংশ।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. শফিউর রহমানের সই করা কার্যবিরবণী সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় উপস্থাপন করে প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রকল্পটির নির্মাণ ও পূর্ত কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের সংস্থান রাখা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন গ্রহণ করে জেলা প্রশাসকের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখার জন্য এবং ভিত্তিপ্রস্তর অনুযায়ী নামফলক সংগ্রহ করে তা প্রকল্প এলাকায় স্থাপনের জন্য সভার সভাপতি নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, প্রকল্পের নির্মাণ কাজ তদাকির ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রকল্পটি পরিদর্শনের জন্য তিনি অনুরোধ করেন।

এ পর্যায়ে বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক ও প্রকল্প পরিচালকে সদস্য সচিব করে এবং আইএমইডি, প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি নিয়ে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের জন্য সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া, নির্মাণ ও পূর্ত কাজের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র কেনার জন্য সভায় নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাস্তবতার নিরিখে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রকৃতপক্ষে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হবে, তা সঠিকভাবে নিরূপণ করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত এডিপিতে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করার জন্য পরিকল্পনা কমিশন এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি মতামত দেন।

সভায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ অর্থের সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পণ্য ও সেবা কেনা, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা ও আর্থিক শৃঙ্খলা যথাযথভাবে পালন করা, পিপিএ-২০০৬ ও পিপিআর-২০০৮ যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রকল্পের সব ধরনের ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করে নির্ধারিত মেয়াদে প্রকল্প শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর