।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনেই সহিংসতা ও হামলার ঘটনায় বিশেষ করে মির্জা ফখরুলের গাড়িতে হামলায় আমরা বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং এ তিনি একথা বলেন। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে নির্বাচন সহিংসতার জায়গা নয়। নির্বাচন মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জায়গা।’ ধৈর্য্য ও অন্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেন সিইসি।
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন বৈশিষ্টপূর্ণ তো বটেই, সব দিক দিয়ে আলাদা নির্বাচন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগের কোনো নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। প্রতিটা কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ছয় জন প্রার্থী, সারা দেশে মোট ১ হাজার ৮০০ এর বেশি প্রার্থী মাঠে থাকবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’
সিইসি বলেন, ‘গতকালকে আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলেছিলাম যে, সারাদেশে নির্বাচনি কার্যক্রমে কোনো অঘটন ঘটেনি। কিন্তু গতকালই দুটো ঘটনা ঘটেছে। যেটা আমাদের বিব্রত করেছে, মর্মাহত করেছে। দুইজন নিহতের ঘটনা আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করেছে, ব্যথা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িতে হামলা হয়েছে। যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং আমরা কিন্তু বিব্রত। এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। একটা মানুষের জীবন সমস্ত নির্বাচনের চেয়ে মূল্যবান। সারাদেশে যে ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। সেটার যে মূল্য, আমরা মনে করি একটা মানুষের জীবনের মূল্য তার চেয়ে বেশি। সহিংসতার কারণে সেই জীবন চলে গেলো এটা কারো কাম্য হতে পারে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী, প্রার্থী, ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী, সবার প্রতি অনুরোধ করতে চাই- আপনারা ধৈর্যশীল আচরণ করবেন, নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলবেন, কারও নির্বাচনি প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না, একে অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন। যেকোনো উত্তেজনাকর, উদ্বেগজনক নির্বাচন পরিপন্থি ও অনাকাঙ্খিত কার্যাবলি পরিহার করবেন এবং নিজেরাই তার প্রতিহত করবেন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, কমিশন নির্বাচনের আগে সব ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে রিটার্নিং অফিসার ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। আইনের সঠিক প্রয়োগ করে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল নির্বাচন উপহার দিতে এসব কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সারাবাংলা/জিএস/এমও