সুনীল অর্থনীতিতে সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র বাংলাদেশ
১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৫:০৩
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটিয়ে বাংলাদেশ এখন সুনীল অর্থনীতির একটি নতুন উন্নয়ন ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন এর ওপর ৭৩তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ প্লেনারির এজেন্ডাভুক্ত এক আলোচনায় অংশ নিয়ে মো: আরিফুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
আরিফুল ইসলাম জানান, পৃথিবী নামক গ্রহে সমৃদ্ধি আনতে স্বাস্থ্যকর মহাসাগর অপরিহার্য। ২০১৪ সালে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্র সীমার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র ও মহাসাগরীয় সম্পদসমূহ আহরণের দ্বার উন্মুক্ত করতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, এই সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য সামুদ্রিক জাহাজ, সমুদ্র বন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজের পুন:ব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য, সামুদ্রিক লবণ, উপকূলীয় পর্যটন, মহাসাগরীয় শক্তি, ভূমি পুনরুদ্ধার, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারি এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন ও প্রশাসনকে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এসকল বিষয়গুলো সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার গৃহীত ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০’ তে সুনিপুণভাবে সন্নিবেশ করা হয়েছে।
‘মহাসাগর ও সমুদ্র বিষয়ক আইন’ সংক্রান্ত এ আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় পদক্ষেপের এসকল তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি এসডিজি’র অভীষ্ট ১৪ এর বাস্তবায়ন এবং এক্ষেত্রে মৎস্য ভর্তুকি সংক্রান্ত ডব্লিউটিও এর আলোচনা সম্পূর্ণ করার ওপরও বিশেষ জোর দেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।
তাছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তন-জনিত কারণে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহী-সোপানের সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিশনে মুলতবি থাকা বিভিন্ন আবেদন নিষ্পন্ন করার কাজে গতি আনার দাবি জানান তিনি।
এছাড়া, সমুদ্র ব্যবহার করে অভিবাসী ও শরণার্থীদের গমনাগমনের বিষয়ে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার উদ্বেগের কথা জানান। এসকল অনিয়মতান্ত্রিক বিষয় মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে এগিয়ে আসা, পুশ ও পুল ফ্যাক্টর বিবেচনা এবং সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কথাও উল্লেখ করা হয়।
সমুদ্র বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের সক্ষমতা বিনির্মাণ ও সমুদ্র বিষয়ক প্রযুক্তির হস্তান্তর বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরে জাতিসংঘের সমুদ্র বিষয়ক আইন সংক্রান্ত কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এই উপস্থায়ী প্রতিনিধি।
সারাবাংলা/এনএইচ