Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইসিটি খাতের উন্নয়নের কৃতিত্ব যুব সমাজের: অর্থমন্ত্রী


১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:০৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।। 
ঢাকা: আইসিটি খাতের উন্নয়নের সমস্ত কৃতিত্ব দেশের যুব সমাজের মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘আইসিটি খাতে বাংলাদেশের যাত্রা অনেক পরে শুরু হলেও বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের লিডিং কান্ট্রি।’
বুধবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৮-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা’ প্রতিপাদ্যে নানা আয়োজনে সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
ডিজিটাল খাতে যুবকদের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১২ ডিসেম্বর-২০০৮ সালে শেখ হাসিনা শেরাটন হোটেলে ঘোষণা দেন, আমি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছি। সেই স্বপ্নটা আমরা কোনভাবে উপস্থাপন করছি। কিন্তু এই স্বপ্নটা পুরোপুরি বাস্তবায়নের দায়িত্ব যুব সমাজের। কারণ যুব সমাজ আইসিটিটা বুঝে। এই যে আইসিটি খাতের উন্নয়ন এর পুরো কৃতিত্ব যুব সমাজের।’
উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে ইশতেহার তৈরি করতে হয়। দেশের সেবা করতে চান, সুশাষণ প্রতিষ্ঠা করতে চান তাহলে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি দরকার। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তা ছিল বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে দিবসটির উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি দিবসটির লগো উন্মোচন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশেষ অবদানের জন্য সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও আইসিটি খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দিবসটি উপলক্ষে ‘২০০৮-২০১৮ ডিজিটাল বাংলাদেশের ১০ বছর’ উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরে দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে গেছে। ডিজিটাল রূপান্তরের যায়গাটি এখন শিল্প বিপ্লবে রূপান্তর হবে। তবে একটা সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কম হাসিঠাট্টা হয়নি। লাঙ্গল-জোয়ালের বাংলাদেশ, ২০১৮ সালে এসে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে আপনারা তা সবাই জানেন।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা আসলেই খুব ভাগ্যবান। একটি লাঙ্গল-জোয়ারের দেশ থেকে যে দেশ এসেছে তোমরা সেই দেশে বাস করছো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম দেশ হিসেবে দেখতে চাই। আমাদের প্রত্যাশা হবে উন্নয়নের এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে। নতুবা অভিজ্ঞতা হবে ২০০১ সালের মতো।’
সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রাতারাতি হয়নি। তবে আমরা দ্রুততার সঙ্গে এগুতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে পারবো। কারণ তরুণ প্রজন্ম নতুন করে দেশের মাটি চিনতে পেরেছে। এই ধারা যদি ধরে রাখতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ কোথায় পৌছাবে তা আমরা জানি না;  তা নির্ভর করছে তরুণদের ওপর। তারাই দেশকে এগিয়ে নেবে।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম খায়রুল আলম এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী আইসিটি আইসিটি খাতের উন্নয়ন কৃতিত্ব যুব সমাজের

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর