Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদ


১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৪৮

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।। 

ঢাকা: মানবাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অধিকারকর্মী ও সরকারের ভূমিকার মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দেশে মানবাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে অধিকারকর্মী ও সরকারকে সমন্বিত ভূমিকা রাখতে হবে বলে।’

বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার এনগেইজমেন্ট অন ইউপিআর আউটকাম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।

সভায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের তাগিদও দেওয়া হয়েছে।

বক্তারা বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব ধরনের অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকারের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘আর্টিকেল নাইনটিন’ এই সভার আয়োজন করে।

ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া যা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রক্রিয়ার অধীনে প্রতি সাড়ে চার বছর পর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার সুযোগ পায় এবং তার আলোকে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ঘোষণা করে। মানবাধিকারের সুরক্ষায় সবশেষ ইউপিআর ফোরামের ২৫১ সুপারিশের মধ্যে ১৭৮টি চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।

আর্টিকেল নাইনটিন-এর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আবদুস সালাম। সভায় সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কে এম আবদুস সালাম বলেন, ‘জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার সঙ্গে বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত মানবাধিকারের মিল রয়েছে। সেই অধিকার বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে সরকারের কাছে নাগরিকের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাই প্রত্যাশা পূরণে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত ভূমিকা রাখতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘নাগরিক সংগঠনগুলো সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আর্টিকেল নাইনটিন সরকার, নাগরিক ও নাগরিক সংগঠনের সমন্বিত ভূমিকা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

মানবাধিকার সরকারি-বেসরকারি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর