Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অনাস্থা ভোটে পাস মে, আগাম নির্বাচনে না লড়ার প্রতিশ্রুতি


১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৯:৩২

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রস্তাবিত অনাস্থা ভোটে পাস করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ৩১৭ ভোটের মধ্যে ২০০ ভোট পেয়েছেন তিনি। জয়ী হওয়ায় আগামী এক বছর দলীয় প্রধান হিসেবে তার নেতৃত্ব এখন সম্পূর্ণ নিশ্চিত। খবর বিবিসির।

অনাস্থা ভোটে জয়ী হওয়ার পর আগামী নির্বাচনে না লড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মে। ভোটের পর মে আরও বলেন, তিনি ব্রিটিশ জনগণকে ব্রেক্সিট সরবরাহ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং তিনি তার বিরোধী মন্ত্রীদের উদ্বেগের বিষয়গুলো শুনেছেন।

মে’র সমর্থকরা দলটিকে এভাবেই এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এক-তৃতীয়াংশ মন্ত্রীর সমর্থন হারানোটা বেশ বিপর্যয়কারী ব্যাপার।

মে ৮৩ ভোটের ব্যবধানে অনাস্থা ভোটে পাস করেছেন। তার পক্ষে ভোট দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টীর ৬৩ শতাংশ মন্ত্রী। অন্যদিকে বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৭ শতাংশ।

ভোট শেষে মে জানান, তিনি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ৃ৩ ডিসেম্বর) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সম্মেলনে ব্রেক্সিট চুক্তিতে পরিবর্তন আনার পক্ষে লড়বেন। তিনি বলেন, নিজের সহকর্মীদের সমর্থনে আমি খুশি। তাদের সমর্থনে আমি খুশী হলেও, অনেক সহকর্মীই আমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন আর আমি তাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো শুনেছি।

কনজারভেটিভদের প্রতিক্রিয়া

মে’র বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ডাক দিয়েছিলেন কনজারভেটিভ মন্ত্রী জ্যাকব রিজ-মগ। তিনি বলেন, ভোটে এক-তৃতীয়াংশ মন্ত্রীর সমর্থন হারানো প্রধানমন্ত্রীর জন্য খুবই ভয়ানক ফলাফল। জ্যাকব প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

ব্রেক্সিট সমর্থক মন্ত্রী মার্ক ফ্রান্সোয়িস বলেন, পেছনের সারির অর্ধেকের বেশি মন্ত্রীদের সমর্থন হারানো মে’র জন্য বিপর্যয়কারী।

বিজ্ঞাপন

পরিবহণমন্ত্রী ক্রিস গ্রেইলিং বলেন, এখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা নেওয়ার রয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ডামিয়েন গ্রিন বলেন, এটা মে’র জন্য নিষ্পত্তিকারক জয় ছিল। এখন তিনি নিশ্চিন্তে তার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।

বিরোধীদল যা বলছে

প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, এই ভোটে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। থেরেসা মে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তার সরকার দেশের ভালোর জন্য কাজ করে এমন একটি সুষ্ঠু ব্রেক্সিট সরবরাহ করতে অক্ষম।

লেবার পার্টি জানিয়েছে, তারা মে’র বিরুদ্ধে একটি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তুলবে। তবে সেটা কেবল কনজারভেটিভ মন্ত্রীদের হবে না। সকল মন্ত্রীরা সেটায় ভট দেবে। তবে সে প্রস্তাব তখনই তোলা হবে যখন লেবার দলের মনে হবে ওই ভোটে তারা জয়ী হবে। এছাড়া একটি আগাম নির্বাচনের জন্যও জোর দেবে তারা।

পরবর্তী নির্বাচনে লড়বেন না মে

মে আগে বলেছিলেন, আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। কেননা, ব্রেক্সিট সরবরাহের জন্য তার কাছে এটাই ছিল একমাত্র পন্থা। তবে অনাস্থা ভোটের পর নিজ মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০২২ সালের নির্বাচনে তিনি লড়বেন না।
তিনি বলেন, অন্তর থেকে নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছা থাকলেও, তার মন্ত্রীদের বিরোধিতা তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।

সারাবাংলা/ আরএ

অনাস্থা ভোট থেরেসা মে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর