।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা— এই বিষয়গুলোতে প্রাধান্য দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নির্বাচনি ইশতেহার। এতে ১৩ দফা লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঘোষণা করা হয়েছে ২১ দফা কর্মসূচি।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। দলীয় সভাপতি রাশেদ খান মেননের উপস্থিতিতে ইশতেহার পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা।
ইশতেহার ঘোষণা করতে গিয়ে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সামনের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ঐক্য সংগ্রাম ও ঐক্যের ধারায় ১৪ দলীয় জোটের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এরই ভিত্তিতে আমাদের প্রার্থীরা যেমন নৌকা মার্কায় নির্বাচন করেছে, তেমনি দলীয় প্রতীক হাতুড়ি মার্কা নিয়েও নির্বাচনে লড়াই করছে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে দলের মূল ইশতেহার ১৩ দফা লক্ষ্য বাস্তবায়ন। এই ১৩ দফা বাস্তবায়নে ২১ দফা কর্মসূচিও রয়েছে।
ইশতেহারের ১৩ দফা লক্ষ্য হচ্ছে— রাজনীতিকে দুর্নীতি ও দুবৃত্তায়নের হাত থেকে রক্ষা করতে রাজনীতি ও নির্বাচন ব্যবস্থার পরিপূর্ণ সংস্কার করা; উন্নয়নের পাশাপাশি ধনী-দরিদ্র ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমিয়ে আনা; সর্বস্তরের দুর্নীতি রোধ করা; বেকার তরুণদের নিবন্ধন ও কর্মসংস্থান সাপেক্ষে বেকার ভাতা চালু করা; শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা; ধর্মীয় ও জাতিগত সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করা; শহর ও গ্রামের কর্মজীবী নারীর কর্মসংস্থান করা, মজুরি বৈষম্য দূর করা; জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা; কৃষকের ফসলের ন্যায়সঙ্গত মূল্য নিশ্চিত করা; ডিজিটাল বৈষম্য কমানো ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করা; শিল্পায়নের ক্ষেত্রে সংবিধানের ১৩ ধারাকে ভিত্তি করে উন্নয়ন করা; বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি বন্ধ করা; গ্যাস সম্পদ আহরণে বাপেক্সকে আরো সক্ষম করা এবং পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।
সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর