Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কারাবিধি অনুসারে দুলুকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ


১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৯

।।স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর-২ আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ডিভিশন দিতে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

এদিন, আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম ডিভিশন ও অসুস্থতার বিষয়ে শুনানি করেন। বিচারক শুনানি শেষে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালে ২৪ জানুয়ারি শেরেবাংলা থানার শ্যামলী শিশুমেলা সংলগ্ন রাস্তার সামনে বোমা বিস্ফোরণসহ গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার নেপথ্যে দুলু ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলাতে। এই মামলার আসামি হিসেবে বুধবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

গত বুধবার( ১২ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান সারাবাংলাকে দুলুর গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে দুলুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর শেরেবাংলানগর থানার চার্জশিট দাখিল হওয়া একটি নাশকতার মামলায় বিকালে আসামিকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। মামলাটিতে আগে থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল।

মামলা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দায়ের করা হয়। মামলায় একই বছর ২৪ জানুয়ারি শেরেবাংলানগর থানাধীন শিশুপল্লির সামনের রাস্তার উপর বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়। মামলার এজাহারের ১৬ জনের নাম ছিল। সেখানে দুলুর নাম ছিল না। তবে, এজাহারে তার নাম ছিল। মামলাটি তদন্তের পর প্রথম দফায় ২০১৬ সালের ১ আগস্ট বিস্ফোরক ও দন্ড-বিধি আইনের পৃথক ২টি চার্জশিট আদালতে ২৯ জনের বিরুদ্ধে দাখিল হয়।

বিজ্ঞাপন

এরপরে মামলাটিতে একই বছর ৩১ ডিসেম্বর দুইটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল হয়। উভয় চার্জশিটে দুলুর নাম ছিল। মামলায় চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর দুলু হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। পরে হ্ইাকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় গত ২৩ জুলাই সিএমএম আদালত তার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে ফৌজদারি মামলায় দণ্ড থাকার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তা গত ২ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি ইসিতে আপিল করলে ৬ ডিসেম্বর আপিল শুনানিতে তা খারিজ হয়। ইসির এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন দুলু।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতাও স্থগিত করেন আদালত। এ অবস্থায় দুলুর নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী। তবে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। সেই শুনানি শেষ হওয়ার আগেই নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যেতে হয় দুলুকে।

সারাবাংলা /এআই/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর