‘ব্যাংক খাত নিয়ে সিপিডির রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৫২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ‘১০ বছরে ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাট হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা’-এমন বক্তব্যের বিরোধীতা করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের আগে সিপিডির এই রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক অর্থায়ণ নিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, সিপিডির এই বক্তব্যকে এর আগে আমি রাবিশ আখ্যায়িত করেছি।
এর আগে দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের গতি বাড়াতে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি সহজীকরণ ও কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে আইন-বিধি, নীতি-পদ্ধতি সংস্কারে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি তেমন বাড়েনি। এসব বিবেচনায় কর্মসংস্থান কর্মসূচীভিত্তিক নীতি-কৌশল ঋণ দিতে রাজি হয়েছে বিশ্বব্যাংক। আগামী ৩ বছরে (২০১৯-২০২২) বাংলাদেশ মোট ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা পাবে যার প্রথম বছরের অংশ হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় ১২ ডিসেম্বর অনুমোদন পেয়েছে। গত ১০ বছরের মধ্যে এটিই বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় একক ঋণ। বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে এই অর্থ সরকার যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
উল্লেখ্য, সরকার কল-কারখানা প্রতিষ্ঠা ও দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পুরনো আইন সংশোধন বা পরিবর্তন করে নুতন আইন, নীতি প্রণয়ন করেছে। এরই মধ্যে সরকার ওয়ান স্টপ শপ আইন, শ্রম আইন (সংশোধন), ওয়েজ আর্নার ওয়েলফেয়ার বোর্ড আইন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ প্রনয়ন করেছে। নূতন কাস্টম আইন, ২০১৮ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন এবং কোম্পানী আইন (সংশোধন), চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। জাতীয় পরিবেশ নীতি, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারী চাকুরীজীবিদের আলাদা পেনশন অফিস প্রতিষ্ঠা করে সকল নাগরিকের জন্য একটি সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।
সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম