আরও ৪শ কোটি টাকা পাচ্ছে ইভিএম প্রকল্প
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৫০
।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৪শ কোটি টাকা। বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাতে বরাদ্দের অতিরিক্ত হিসেবে এ টাকা দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের বাড়তি চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দিতে গত ১১ ডিসেম্বর অর্থ বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর এই প্রকল্পের জন্য ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল পরিকল্পনা কমিশন।
একাধিক সূত্র সারাবাংলাকে জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায় ‘নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ নামের প্রকল্পটি। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। এ বছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির আওতায় দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কেনার কথা ছিল।
প্রকল্পটি পাস হওয়ার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এককালীন ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয় পরিকল্পনা কমিশনের কাছে। তবে এককালীন এই পরিমাণ টাকা বরাদ্দের সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেয় পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ।
আরও পড়ুন- যে ৬ আসনে ইভিএম
এরপরও বরাদ্দের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে নির্বাচন কমিশন। গত ২০ নভেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্যের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। সেখানে ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকাই বরাদ্দ দিতে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে ইভিএম সংগ্রহ এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত (এডিপি) ‘কম বাস্তবায়ন অগ্রগতিসম্পন্ন’ প্রকল্প থেকে পুনঃউপযোজনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের অনুকূলে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পর্যায়ক্রমে এই টাকা বরাদ্দ প্রয়োজন। কিন্তু এটিও সম্ভব না হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরুর জন্য হলেও ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অনুরোধ করে ইসি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এডিপির আওতায় পরিকল্পনামন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ রাখা থোক থেকে পরিকল্পনা কমিশন গত ২৬ নভেম্বর ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। সম্প্রতি আবার ৪শ কোটি টাকা চেয়ে অনুরোধ করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- আরপিও পাল্টে ৩৮২৯ কোটি টাকায় তড়িঘড়ির ইভিএম!
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে বলা হয়েছে, ইভিএম প্রকল্পটির অনুকূলে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। এরই মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে সরকারি তহবিলের ১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরে ওই প্রকল্পের অনুকূলে চলতি এডিপিতে বরাদ্দের অতিরিক্ত হিসেবে আরও ৪শ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এই অর্থ বিশেষ প্রয়োজনের উন্নয়ন সহায়তা খাতে রক্ষিত অর্থ থেকে সংকুলান করা সম্ভব নয়। এরপর চলতি অর্থবছরে এডিপির বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা খাতে সরকারি অংশে রক্ষিত অর্থের অতিরিক্ত হিসেবে ৪শ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর