Sunday 11 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আমাদেরকে ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করুন’


১১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:০৬ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৮:৫৯

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের আমরণ অনশনের তৃতীয় দিনে এসে অসুস্থ শিক্ষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। এদের মধ্যে ৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

‘অনশনে যদি কেউ মারা যায় তবে তার দায় শিক্ষামন্ত্রীর। আমরা ন্যায্য দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছি। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা  শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী রুহুল আমীন চৌধুরি অনশনরত অসুস্থ শিক্ষকদের দেখিয়ে সারাবাংলার কাছে এভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, ৩৪ বছর ধরে আমরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছি। আমাদের মধ্যে সঠিক নেতৃত্ব আর দিক নির্দেশনার অভাবে কোনো সরকারই আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়নি। এখন আমরা কোমর সোজা করে দাঁড়িয়েছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবো। রাজপথ থেকে আমাদের লাশ যাবে তবুও আমরা পিছু হটবো না।

অসুস্থদের সংখ্যা বাড়লেও বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো মেডিকেল টিম পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান। তিনি জানান, অনশনরতদের চিকিৎসায় সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মেডিকেল টিম চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবস্থান কর্মসূচী শুরু করে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার কয়েক হাজার শিক্ষক। পরে তা আমরণ অনশনে রূপ নেয়। আন্দোলনের একাদশ দিনেও শিক্ষকের সংখ্যা কমেনি, বরং বিভিন্ন জেলা থেকে নতুন করে কয়েক’শ শিক্ষক এসে যোগ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

 

এদিকে তীব্র শীত আর অনাহারে অসুস্থ হয়ে পরছেন শিক্ষকরা। সমিতির নিজস্ব উদ্যোগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আন্দোলন এলাকাজুড়ে তাদের চোখে পড়ছে। বিশেষ করে নারী এবং বৃদ্ধদের  করুণ অবস্থা। তাদের দিকে আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকদের বেশি নজর রাখতে দেখা গেছে।

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বিসিএসসহ সকল সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচিও চালু রেখেছেন।

সারাবাংলা/এমএস/টিএম/এমএ

 

এব