Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খুলনায় ধানের শীষে লড়ছেন শীর্ষ ২ জামায়াত নেতা


১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৮:২১

।। মো. জামাল হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

খুলনা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনায় ছয়টি আসনের দুটিতে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামির শীর্ষ দুই নেতা। তারা খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া- ফুলতলা) ও খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

খুলনা-৬ আসনে (কয়রা-পাইকগাছা) ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন নগর জামায়াতের আমীর মো. আবুল কালাম আজাদ।  তবে জামায়াতের এ নেতা খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন। অন্যদিকে, খুলনা-৫ আসনে ধনের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার। এর আগে ২০০৮ সালে ৩৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ৪ হাজার ভোটে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় গত ১০ অক্টোবর দায়ের হওয়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ডি ধারার মামলায় গত ২৭ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে আরও ৭টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীকের প্রাথীর পক্ষে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনও মাঠে নামেনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রাথী হিসেবে রয়েছেন মো. আক্তারুজ্জামান বাবু। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের দায়িত্বে রয়েছেন।

তাছাড়া আসনটিতে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু দলীয় সিদ্ধান্তে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোটের আছেন। এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন— ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ (হাতপাখা), জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন (গোলাপ ফুল), কমিউনিস্ট পার্টির সুবাস চন্দ্র সাহা (কাস্তে) ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির মির্জা গোলাম আজম (টেলিভিশন) নিয়ে এ আসনে ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগের নারায়ণচন্দ্র চন্দ (নৌকা), সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার (কাস্তে), ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান (হাতপাখা) ও জাতীয় পার্টির শহীদ আলম (লাঙ্গল)।

এ আসনে খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা শুরু থেকেই ধানের শীষের প্রাথী হতে দৌড়-ঝাঁপ করেন। তবে ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফেরত পান। কিন্তু সবশেষ জোটের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ছিটতে পড়েন তিনি। শরিক দল জামায়াতের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

খুলনার দুর্গম দুই আসনের মধ্যে একটি হচ্ছে খুলনা-৫

(ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৭১ হাজার ৩০৪ জন পুরুষ ভোটার ও ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৬৮ জন নারী ভোটার।

অন্য দুর্গম এলাকার মধ্যে রয়েছে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনটি। এ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৯ জন। আসনটিতে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৮১ হাজার ৯১৪ জন।

এ আসনেও জামায়াতের প্রার্থী আবুল কালাম ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করলেও এখনও মাঠে নামেননি বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছেন।

খুলনা নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোটকেট শাহ আলম বলেন, ‘উপজেলা, ইউনিয়ন ও সেন্টারভিত্তিক কমিটির নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এখনও পর্যন্ত সরাসরি ভোটের মাঠে না নামলেও শিগগিরই মাঠে নামবেন।’ সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর