বধ্যভূমিতে শহীদ স্মরণ
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: শহীদ বুদ্ধজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করলো সর্বস্তরের মানুষ। শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধার পাশাপাশি নাটক, কবিতা আর প্রতিবাদী সমাবেশে দিবসটি পালিত হলো যথাযোগ্য মর্যাদায়।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) দিবসের প্রথম প্রহরে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমিও খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য।
এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বৃহত্তর ধানমন্ডি মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদবেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি বেদির একপাশে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান চলতে থাকে। এতে স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী প্রতিবাদী কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা
কবিতায় একাত্তর স্মরণের পাশাপাশি চলে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে দ্রোহ, প্রতিবাদ। সেই সঙ্গে ফাঁসির দন্ড নিয়ে পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার তাগিদও উঠে আসে সেসব কবিতায়।
কবিতা ছাড়াও বেদির সামনের অংশে নাটকের মাধ্যমে ৭১-এর ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন অভিনয় শিল্পীরা। বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের ঘটনার পরম্পরা এবং স্বাধীনতার শেষ সময়ের বাংলা ও বাঙালির প্রতিরোধ দিনের চিত্রও তুলে ধরা হয় অভিনয়ের মাধ্যমে।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে জাতীয় বুদ্ধিজীবী দিবসের এ আয়োজনে ছিলো নির্বাচনি আমেজ। স্থানীয় নৌকার প্রার্থী মো. সাদেক খানসহ বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারণাও লক্ষ্য করা গেছে বধ্যভূমিকে ঘিরে।
লালসবুজের পোশাকের পাশাপাশি নৌকা প্রতীকের পোস্টার, ফেস্টুন বহন করতে দেখা গেছে নানা বয়সী মানুষকে।
এছাড়া, বধ্যভূমির মূল গেট থেকে ভেতরে প্রবেশের পথে দেখা গেছে বিচ্ছু বাহিনীর প্রতিবাদী সভা। সে সভা থেকে একাত্তরে ঢাকার রণাঙ্গণের কিশোর সৈনিক বিচ্ছু জালালের একক বক্তব্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি পলাতক যুদ্ধাপরাধী চৌধুরি মঈনুদ্দীনসহ অন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
সেইসঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীও পালন করতে দেখে গেছে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।
সারাবাংলা/এমএস/জেএএম