বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন আর নেই
১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৪
।। এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার, অভিনেতা এবং সাহিত্যিক আমজাদ হোসেন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সেখানকার সময় ৩টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। তার মৃত্যুর খবরটি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক।
এস এ হক অলীক সারাবাংলাকে আরও জানান, প্রয়াত আমজাদ হোসেনের দুই ছেলের মধ্যে এখন ব্যাংকক রয়েছেন ছোট ছেলে সোহেল আরমান। বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসনে দোদুল এখন অবস্থান করছেন বাংলাদেশে। ব্যাংকক থেকে মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে শিগগিরই।
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমদিন থেকেই তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে।
২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৮ নভেম্বর রাতে আমজাদ হোসেনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানেই এতদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল আমজাদ হোসেনের। ব্রেন স্ট্রোকের কারণে তৈরী হওয়া সম্ভাবনা ছাড়াও শরীরের বাইরে এবং ভেতরে ইনফেকশন ছিল তার।
বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন।
গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন গুণী এই মানুষটি।
সারাবাংলা/পিএ/একে