Monday 20 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে আত্মগোপনে এসে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’


১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:৩১

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ মো. শাব্বির (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, শাব্বির মিয়ানমার থেকে ইয়াবা কিনে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করত। টেকনাফে ইয়াবার বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরুর পর চট্টগ্রামে পালিয়ে আসে শাব্বির।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছে একটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও ৫ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে।

শাব্বির টেকনাফ উপজেলার পল্লানপাড়া এলাকার মো. ছিদ্দিকের ছেলে। এলাকায় শাব্বির বার্মা শাব্বির নামে পরিচিত বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি-পশ্চিম) মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।

মঈনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাব্বির জানিয়েছে সে টেকনাফের জনৈক এনামুলের মাধ্যমে সরাসরি ইয়াবা দেশে আনত। এরপর সেগুলো প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, বাস কিংবা পিকআপ ভ্যানে করে কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যেত। সেখানে তাদের ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে ইয়াবাগুলো ভারতে পাচার করত। দেশের ভেতরেও তারা ইয়াবা বিক্রি করত।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে জাহাঙ্গীরও চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল। তবে নগর গোয়েন্দা পুলিশের নজর এড়িয়ে সে পালিয়ে যায়, জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

এসি মঈনুল সারাবাংলাকে আরও জানান, বার্মা শাব্বিরের সিন্ডিকেটে ইয়াবার বাহক হিসেবে কমপক্ষে ৫০ জন নারী কাজ করেন। ইয়াবা বহনের ক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষা প্রয়োগ করে।

বিজ্ঞাপন

‘শাব্বির একজন আন্তর্জাতিক ইয়াবা চোরাচালানি। ইয়াবা গডফাদার সাইফুল করিমের সিন্ডিকেটের সে সদস্য। সম্প্রতি নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার পলাতক আসামি শাব্বির। কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে গত কয়েক মাসে শাব্বিরের ৮টি গাড়ি থেকে ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে’- বলেন মঈনুল।

কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইয়াবার বিরুদ্ধে টেকনাফে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এজন্য ছোট-বড় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অনেকেই টেকনাফ ছেড়ে পালিয়েছে। বার্মা শাব্বিরকেও গত তিন মাস ধরে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।’

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মঈনুল বলেন, চট্টগ্রামে আত্মগোপনে থাকলেও ইয়াবার ব্যবসা বন্ধ করেননি শাব্বির। বাহকদের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে নিয়ে যেত কুমিল্লায়। সব সময় চট্টগ্রামেও থাকত না। বেশিরভাগ সময় কুমিল্লায় সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় জাহাঙ্গীরের সঙ্গেও থাকত।

বার্মা শাব্বিরের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসি মঈনুল ইসলাম।

সারাবাংলা/আরডি/এটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর