Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনের সাতদিন আগে ৩০০ আসনে ব্যালট পৌঁছে যাবে: ইসি সচিব


১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:৩৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আমরা আশা করছি, নির্বাচনের ৭ দিন আগে ব্যালট পেপার তৈরি ও তা নির্বাচনি ৩০০ আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো। কিছু কিছু নির্বাচনি এলাকায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে কিছু নির্দেশনা আসছে। এই নির্দেশনাগুলোকে সমন্বয় করে ব্যালট পেপার তৈরি করতে হবে। তারপরও নির্বাচনের ৭ দিন আগে ব্যালট পেপার পৌাঁছে যাবে। এরই মধ্যে আমরা ব্যালট পেপার তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসি সচিব তার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত এক মাস ধরে চলা প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। এখন বাকি শুধু মাঠ পর্যায়ে প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ। বাকি সব ধরনের প্রশিক্ষণ আমাদের শেষ হয়ে গেছে। আরেকটি প্রস্তুতি চলছে- ব্যালট পেপার তৈরি করা।

ইসি সচিব বলেন, আগামীতে কমিশনারগণ মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কিছু কর্মকর্তাদের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ দেবেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার নির্বাচনি কর্মকর্তা ও নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসি সমন্বয় সভা করবে। একইদিন বিকেলে চট্টগ্রামেও একই ধরনের সমন্বয় সভা হবে।

তিনি জানান, আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করবে।

সেনা সদস্যদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হবে কি না- প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, নির্বাচনি মাঠে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগে তিন ধরনের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৬৫২ জন, যুগ্ম জেলা জজ থাকবেন ২৪৪ জন এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৬৪০ জন। তারা নির্বাচনের ২ দিন আগে থেকে নির্বাচনের পরদিন পর্যন্ত মোট ৪ দিন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া এক হাজারের মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ সদস্যদের নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এরাই মূলত ভোটের মাঠে বিচারিক দায়িত্ব পালন করবেন। ফলে আলাদা কোনো বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ইসিতে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে যে, তারা এলাকায় যেতে পারছেন না। এই প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, যে সব প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে, প্রতিটি অভিযোগই আমরা গুরত্ব সহকারে দেখছি। আমলে নিচ্ছি। আমরা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছে পাঠাচ্ছি। ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছেও পাঠাচ্ছি। তারা এসব বিষয় তদন্ত করে দেখছে। বেশ কয়েকটি তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতেও এসেছে। তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অভিযোগগুলোর সত্যতা নেই। আর যে অভিযোগগুলোর সত্যতা পাওয়া গেছে, সেগুলো নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার যে সভা হয়েছিল সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বাহিনীর প্রধানদের কমিশনাররা বলেছেন, খুব কড়া করে বলে দেওয়া হয়েছে অহেতুক কাউকে যেন হয়রানি না করা হয় এবং ওয়ারেন্ট ছাড়া কাউকে যেন গ্রেফতার না করা হয়। কমিশন ওইভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, যদি কোনো পেন্ডিং ওয়ারেন্ট থাকে এবং তা তামিলে আদালতের কোনো তাগিদ থাকে তাহলে তাদের গ্রেফতার করা যাবে। আসলে ওয়ারেন্টভুক্তরা অনেকেই আত্মগোপনে ছিলেন। এখন ভোটের মাঠে তারা দৃশ্যমান হয়েছেন। এ কারণে হয়তো পুলিশ তাদের ধরছে বা ধরার চেষ্টা করছে।

সাংবাদিকদের ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত পর্যবেক্ষকদের জন্য (স্থানীয় ও বিদেশি) আলাদা আলাদা নীতিমালা রয়েছে। তবে সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের কোনো নীতিমালা ইসির নেই। বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা থেকে সাংবাদিকদের জন্যও একটা নীতিমালা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কমিশনাররা বলেছেন, সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। ছবি তুলতে পারবেন। এমনকি ভোটারদের মতামতও নিতে পারবেন। এসব ব্যাপরে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কিছুটা বাধ্যবাধকরা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানাবো।

ড. কামাল হোসেনের ওপর হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে কমিশনে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। করলে ইসি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে কি না- প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে যে, ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে ফোন থাকবে এবং পুলিশ ইনচার্জ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্যদের কাছে ফোন থাকতে পারে তবে তারা ভোট কক্ষে তা ব্যবহার করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে একটা ভীতি আছে। সাংবাদিকরা মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তা কেন্দ্রের ভেতরে ব্যবহার না করে বাইরে ব্যবহার করতে পারবেন। ভেতরে ব্যবহার করলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। যারা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসবেন তারাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে উৎসাহী হতে পারেন। তাই এই ব্যাপারে একটা বিধি-নিষেধ থাকা প্রয়োজন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এটা ভয়ের কোনো বিষয় নয়। এটা হলো যে, নির্বাচনকে যেন কেউ বানচাল না করতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। আপনারা জানেন, এবার একটু ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হচ্ছে। সকল রাজনৈতিক দল এতে অংশগ্রহণ করছে। একটি রাজনৈতিক সরকার আছে। সকল কিছু মাথায় রেখে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।

সারাবাংলা/জিএস/এটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর