বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:০৩
।। লোকাল করেসপন্ডেন্ট ।।
সাভার : বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রোববার (১৬ ডিসেম্বর) দিনের প্রথম প্রহরেই স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ লাখো মানুষ।
এই লাখো মানুষের পদচারণার জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আশপাশে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকে নিরাপদ করতে রাখা হয়েছে কয়েক স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়।
ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সিসি টিভি ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে গোটা চত্বর। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে গোটা সাভার।
চত্বরে বসানো হয়েছে ৩০টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। এছাড়াও ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আমিন বাজার থেকে নয়ারহাট পর্যন্ত সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। জমকালো আলোক সজ্জা করা হয়েছে পুরো এলাকায়। ।
সব মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
স্মৃতি সৌধ পরিচ্ছন্ন করার দায়িত্ব ছিলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের। পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি কেটে ছেঁটে ঠিকঠাক হয়েছে ফুলের বাগান আর ঘাসের গালিচা।
গনপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে স্তম্ভের মূল বেদি পর্যন্ত ধুয়ে মুছে পরিস্কার করা হয়েছে, আগাছা পরিস্কারসহ প্রবেশ পথে তুলির দিয়ে রাঙানো হয়েছে।
এরই মধ্যে তিন বাহিনীর সদস্যদের মহড়া শেষ হয়েছে, ঝালিয়ে নেওয়া হয়েছে বিউগলের করুন সুর।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তারা।
নিরাপত্তার কারণে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত স্মৃতিসৌধে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোববার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাভার সার্কেল এএসপি তাহমিদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে আমিন বাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কয়েক স্তরের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে র্যাব, পুলিশ ও সিভিল পোশাকের পুলিশের পাশা পাশি থাকবে স্টাইকিং ফোর্স।
সারাবাংলা/এসএমএন