বঙ্গভবনে বিজয় দিবসের সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েক হাজার অতিথি
১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:২১
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানমের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ রাজনৈতিক নেতা ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যোগ দেন এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের সবুজ লনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবর্ধনায় অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, তিন বাহিনীর প্রধান, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকরা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ৪৩ জন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের কেক কাটেন। পরে তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্ষিয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত শিল্পী রফিকুল ইসলাম, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, মেহেরিন ও মুনিয়া বাউলা গান পরিবেশন করেন এবং শিশু ও একটি আর্মি ব্যান্ড অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে জন্মলাভ করে বাংলাদেশ। তাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন। এদিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল নামে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বাসস।
সারাবাংলা/টিআর